নতুন দিল্লি এবং ইসলামাবাদ ২০০৩ সালের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) যুদ্ধবিরতিতে উপনীত হওয়ার এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময় পর ভারত শুক্রবার বলেছে যে, তারা পাকিস্তানসহ সব প্রতিবেশীর সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক চায়, যদিও মূল ইস্যুগুলোতে তার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভারতীয় ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে যে, তারা ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যরাত থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের এলওসি-র উপর যুদ্ধবিরতি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে শুরু করেছে। এটি দু’দেশের মধ্যে পর্দার আড়ালে যোগাযোগের স্পষ্ট পরিণতি।
যুদ্ধবিরতি পুনরুদ্ধারের ফলে আরো আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা বা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ক্র্যাকিংয়ের সাথে পাকিস্তানের সাথে আলোচনার যোগসূত্রে ভারতের বিবৃত অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব শুধু বলেছেন, উভয় পক্ষের মধ্যেকার ইস্যুগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা উচিত।
‘ভারত পাকিস্তানসহ তার সমস্ত প্রতিবেশীর সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক চায়। তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বদা বজায় রেখেছি যে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সমস্যা দ্বিপাক্ষিক ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা উচিত’। বিশদ বিবরণ না দিয়ে তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন নেই’।
২৫ ফেব্রুয়ারি উভয় দেশের সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি বিষয়ে একটি অসাধারণ যৌথ বিবৃতি জারি করার অল্প সময়ের মধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মূল নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুঈদ ইউসুফ ইসলামাবাদে বলেন যে, সমঝোতা নেপথ্যে যোগাযোগের পরিণতি এবং ভবিষ্যতে আরো রাস্তা খুলবে’।
দুই দেশের নেতার বক্তব্যকেও উল্লেখযোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়েছে এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা স্বাগত জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক নিউজ ব্রিফিংয়ে, মুখপাত্র নেড প্রাইস সব পক্ষকে ‘২০০৩ সালের যুদ্ধবিরতি প্রতিশ্রুতি ফিরিয়ে দিয়ে’ এলওসি বরাবর উত্তেজনা হ্রাস করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রও ‘সন্ত্রাসীদের নিন্দা করে যারা নিয়ন্ত্রণ রেখাটি অতিক্রম করতে চায়’।
তিনি আরও যোগ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র কাশ্মীর ও উদ্বেগের অন্যান্য বিষয় নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি সংলাপকে সমর্থন করে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন