যশোরে উদীচী ট্র্যাজেডির ২২ বছরপূর্তি হলো ৬মার্চ শনিবার। দীর্ঘ দিনেও হামলাকারীদের শনাক্ত এবং তাদের শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। উদীচীর নেতারা বলছেন, আজো জড়িতদের শনাক্ত ও বিচার করা সম্ভব হয়নি।
উদীচী মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, আদালতের একটি আদেশের অপেক্ষায় থমকে আছে মামলাটি। মামলাটি চালু করতে সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ রাতে যশোর টাউন হল মাঠে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় নিহত হন ১০ সাংস্কৃতিক কর্মী। অঙ্গহানি ঘটে কয়েক জনের। আর বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন দুই শতাধিক মানুষ।
দুর্বল তদন্তের কারণে বিভীষিকাময় ওই ঘটনায় করা মামলায় ২০০৬ সালের ৩০ মে খালাস পেয়ে যায় সব আসামি। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে উদীচী ও ২০১১ সালে সরকার হাইকোর্টে আপিল করলে তা গৃহীত হয়। এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে ২০১১ সালের ২৪ জুলাই থেকে জামিনে রয়েছেন খালাস পাওয়া ২৩ আসামির মধ্যে ১৭ জন। অন্যরা ইতোমধ্যে মারা গেছেন। মামলাটি পুনরায় চালুর জন্য উচ্চ আদালতের একটি আদেশের প্রয়োজন। এজন্য ৯ বছর ধরে অপেক্ষা করছেন ওই ঘটনায় আহত ও নিহতদের পরিবারসহ ন্যায়বিচার প্রত্যাশীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন