দেশের একমাত্র বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি। কয়েক বছর পূর্বে কয়লা খনিতে সময়-অসময় শ্রমিক আন্দোলন, শ্রমিক অসন্তোষ, বেতন-ভাতা ও প্রভিট-বোনাস নিয়েই তো লেগেই ছিলো আন্দোলন। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খনির শ্রমিকরা খনির প্রধান ফটকে বিক্ষোভ-মিছিলরত অবস্থায় অবস্থান করছিলো।
জানা গেছে, বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির ভূ-গর্ভে প্রায় ১১৪৫ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলো। কোডিভ-১৯ কালীন সময়ের পর থেকে প্রায় ৬ মাস ধরে শ্রমিকরা খনিতে কয়লা উত্তোলনসহ ভূ-গর্ভের কাজে ৬০০ জন শ্রমিক নিয়োজিত। শ্রমিকদের কে খনি কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কোন শ্রমিককেই খনির গেটের বাইরে যেতে দিতো না। খাওয়া-দাওয়া, রাত্রিযাপনসহ ২৪ ঘন্টাই তাদের খনিতে অবস্থান করতে হয়। শ্রমিকদের কোন আত্মীয়-স্বজন, পিতা-মাতা মারা গেলেও শ্রমিকদের তার নিজ বাড়িতে যেতে দিতো না।
সম্প্রতি খনির শ্রমিক আনোয়ার হোসেনের মা মারা গেলে তাকে জানাজায় যেতে দেয়নি। এরই প্রতিফলন হিসেবে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত প্রধান গেটে অবস্থান করে, প্রধান গেট খুলে দেয়াসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন কর্তৃপক্ষের কাছে। রাতে খনি কর্তৃপক্ষ বেগতিক অবস্থা দেখে জেলা থেকে পুলিশের একটি দল খনির গেটে প্রবেশ করে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাশিদ কায়সার রিয়াদ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে নিয়ন্ত্রেণে আনে। খনি কর্তৃপক্ষ-ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শ্রমিক নেতৃবৃন্দর সাথে বৈঠক করে সমাধান করা হবে বলে জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন