ময়মনসিংহে ঈশ্বরগঞ্জে ব্লগারদের বিরুদ্ধে বলায় জামিয়া গাফুরিয়া দারুস সুন্নাহ ইসলামপুর মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস ও ঈশ্বরগঞ্জ তাবলীগ মারকাজের মুরুব্বি মুফতি কাউসার হাসানকে উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উক্ত মাদরাসার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বুলবুল অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করেন। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল রোববার মাদরাসার ছাত্ররা ক্যাম্পাসের ভেতরে ওই নেতার বহিস্কারসহ ৩টি দাবি আদায়ে বিক্ষোভ করেছে।
জানা যায়, গত শুক্রবার ইসলামপুর মাদরাসা মসজিদে জুমার নামাজের বয়ানে মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস ও ঈশ্বরগঞ্জ তাবলীগ মারকাজের মুরুব্বি মুফতি কাউসার হাসান ব্লগার এবং মূর্তির বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন।
পরবর্তীতে নামাজের পর তাকে এবং মাদরাসার প্রিন্সিপালকে ওই আ.লীগ নেতা ফোন দিয়ে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মাদরাসা থেকে বহিস্কার করে দিবে বলে হুমকি প্রদান করা হয়। শিক্ষক হুজুরকে গালিগালাজ করছে এমন খবর শুনে ছাত্রদের ভেতর চাপাক্ষোভ দেখা দেয়।
কিন্তু গত ২ দিনেও এর কোন বিচার না পাওয়ায় গতকাল রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন মাদরাসার ছাত্ররা। এ সময় ওই নেতার বহিস্কারসহ ৩টি দাবি জানান, যদি এই দাবি না মানা হয় তাহলে ক্লাস বর্জনসহ আরো জোরদার আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হয়।
দাবিগুলো হলো- ১, রফিকুল ইসলাম বুলবুলকে অনতিবিলম্বে মাদরাসার কমিটি থেকে বহিস্কার করতে হবে। ২, মজলিসে শূরা গঠন করতে হবে এবং তাদের হাতেই সার্বিক ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। ৩, কমিটির ক্ষমতা মজলিসে শূরার অধিন থাকতে হবে।
বিক্ষোভরত ছাত্ররা বলেন, আমরা হুজুরের কাছে ইলমে দীন শিক্ষা করাসহ হাদিসের দরসে অংশগ্রহণ করছি। শরিয়া অনুযায়ী কথা বলায় হুজুরকে এভাবে হেনেস্তা করা কোনভাবেই বরদাশত করা হবে না। অনতিবিলম্বে মাদরাসার কমিটি থেকে আমরা তার আজীবন বহিস্কার চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত এই দাবি আদায় না হবে আমরা ক্লাস বর্জনসহ আন্দোলনের ঘোষণা দিলাম।
মাদরাসার নায়েবে মোহতামিম মুফতি নাজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে ছাত্ররা বিক্ষোভ করেছে, দুইদিনের সময় নিয়ে তাদের আন্দোলন স্থগিত করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন