সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিএডিসি সেচ কমিটি সমন্বিত ক্ষুদ্র সেচ নীতিমালা-২০১৭ না মেনে সগুনা ইউনিয়নের পতিরামপুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন নামে এক কৃষকের আবেদনের অনুক‚লে অগভীর নলক‚পের লাইসেন্স দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যার লাইসেন্স নং ৩৩২। এদিকে ইব্রাহীম হোসেনের অগভীর নলক‚পে বিদ্যুৎ সংযোগ না দেয়ার জন্য সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ তাড়াশ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন খান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একই গ্রামের কৃষক মাহাতাব উদ্দিন ও পতিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম।
অভিযোগে জানা যায়, কৃষক ইব্রাহিম হোসেনকে যে জমিতে সেচ লাইসেন্স দেয়া হয়েছে সেই জমিটি তার নিজের নয়। ঐ জমির মালিক গুরুদাসপুর উপজেলার নিমাইচন্দ্র নামে এক ব্যক্তি। মূলত ইব্রাহিম হোসেন নিমাই চন্দ্রের জমি বর্গাচাষ করে। তাছাড়া ইব্রাহিম হোসেনের লাইসেন্স সামীনার ৩০০ ফুটের মধ্যে অভিযোগকারী মাহাতাব উদ্দিনের পিতা মৃত আবু ছাইদ ও পতিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিএডিসি সেচ কমিটির দেয়া দুইটি অগভীর নলক‚প চলমান রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ তাড়াশ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। তদন্ত করে নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা বিএডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব মো. ইমাম হোসেন বলেন, অভিযোগের তদন্ত করা হবে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি মো. মেজবাউল করিম বলেন, ইব্রাহিম হোসেনকে লাইসেন্সটি দেয়া হয়েছে তিনি যোগদানের আগে। সমন্বিত ক্ষুদ্র সেচ নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন