ইনকিলাব ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ায় চলতি সপ্তাহে প্রবল বর্ষণজনিত বন্যায় ১৫ জন নিখোঁজ ও আরো কয়েক হাজার লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছে। কোরিয়ার কেন্দ্রীয় বার্তা সংস্থা (কেসিএনএ) গত শুক্রবার রাতে জানিয়েছে, তুমেন নদী স্ফীত হয়ে দু’কূলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করেছে। এর ফলে ওই এলাকায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরীয় সীমান্ত পর্যন্ত নদীটি বিস্তৃত। ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উত্তর হ্যামগিয়োংয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের হোয়েরইয়োং নগরীতে ১৫ জন নিখোঁজ হয়েছে এবং মুসান, ইয়োনসা ও অনসং ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল রাসোনসহ বেশ কয়েকটি কাউন্টির ‘মারাত্মক ক্ষতি’ হয়েছে। কেসিএনএ জানিয়েছে, বন্যায় ১৭ হাজারের বেশি বাড়িঘর ধ্বংস অথবা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৪৪ হাজার লোক অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, নর্থ হ্যামগিয়োং প্রদেশে মঙ্গলবার ভোর থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময় ৩২ সেন্টিমিটার (সাড়ে ১২ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। উত্তর কোরিয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষত বন্যার ঝুঁকিতে থাকা একটি দেশ। উত্তর কোরিয়ার ভূখ-টির অধিকাংশ এলাকা জুড়েই পাহাড় ও পর্বত রয়েছে। জ্বালানি সংগ্রহ অথবা ধান ক্ষেতে পরিণত করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই গাছপালা কেটে বনভূমি ধ্বংস করা হচ্ছে। এর ফলে বৃষ্টির পানি কোনো বাধা ছাড়াই নিচের দিকে বয়ে যায়। এতে কৃষি জমি থেকে উপরের স্তরের মাটি ধুয়ে যায়। উত্তর কোরিয়ায় ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বন্যা ও খরার কারণে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন