শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আসামির মৃত্যদন্ড

কুমিল্লায় বিচারকের সামনে খুন

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

একটি হত্যার ঘটনায় জড়িত না থাকা সত্তে¡ও আসামি ফারুক মামলায় তার স্বাক্ষ্যতে হাসানের নাম বলায় এবং পরে সে আসামি হওয়ার ক্ষোভ থেকে ফারুককে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। আর সেই সিদ্ধান্তের পথ ধরে ওই মামলায় হাজিরা দিতে এসে ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই কুমিল্লার আদালতের বিচারকের সামনেই ছুরিকাঘাতে ফারুককে খুন করে হাসান।

এঘটনার এক বছর আট মাসের মাথায় খুনের দায়ে মো. হাসানকে আসামির মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আতাব উল্লাহ এ রায় দেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত মো. হাসান জেলার লাকসাম উপজেলার ভোজপাড়া গ্রামের লাকসাম উপজেলার ভোজপুর গ্রামের শহিদুল্লাহর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় হাসানের স্বজনরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই কুমিল্লা আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতে জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের হাজী আবদুল করিম হত্যা মামলার হাজিরা দিতে আসেন দুই আসামি কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার ভোজপুর গ্রামের শহিদুল্লাহর ছেলে মো. হাসান এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের অহিদুল্লাহর ছেলে মো. ফারুক। তারা সম্পর্কে আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই। আদালতের এজলাসে ফারুককে দেখতে পেয়ে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে হাসান। প্রাণ বাঁচাতে ফারুক বিচারকের খাস কামরায় প্রবেশ করলে সেখানে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে হাসান। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারুককে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফিরোজ আহম্মেদ হাসানকে রক্তমাখা ছুরিসহ আটক করেন। তিনি ঘটনার বাদী হয়ে ওইদিন রাতে ঘাতক হাসানের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম বলেন, কুমিল্লার আদালতে এ হত্যাকান্ড ছিল একটি নজিরবিহীন ও একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন