শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

যুবদলের নেতা ৮ জন রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার যুবদলের কেন্দ্রীয়সহ সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুসহ ৮ জনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- রফিকুল আলম মজনু, আ. খালেক টিপু, রাসেল ওরফে সৌরভ রাসেল, দিল গনি, শহিদুল ইসলাম, মোশারফ, আবুল কাশেম এবং ওয়াহিদ।
গত ৫ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মো. আব্দুল্লাহ আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ওইদিন আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করে দেন। রিমান্ড শুনানিকালে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
আসামিদের পক্ষে মোসলেহ উদ্দিন জসিমসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তারা বলেন, তারা সন্দিগ্ধ আসামি। এজাহারে তাদের নাম নেই। গত ৪ মার্চ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আর রফিকুল আলম মজনু ঘটনার সময় ফেনীতে ছিলেন। যেহেতু তারা সন্দিগ্ধ আসামি, সেহেতু তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কিছুই বলতে পারবে না। এখানে রিমান্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই। প্রয়োজনে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন। মামলাটিতে এর আগে ১৩ জনকে গ্রেফতার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। গত রোববার রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করার জন্য জড়ো হতে থাকেন। তবে পূর্ব অনুমতি না থাকায় পুলিশ তাদের সমাবেশ করতে বাঁধা দেয়। এ সময় তারা প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢুকে অবস্থান নেয়। পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এরপর পুলিশ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা উভয় গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার এসআই পলাশ সাহা বাদী হয়ে ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন