রংপুরে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় মহানগর ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পিবিআই।মামলা দায়েরের চারমাসের মধ্যে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পৃথকভাবে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এবং মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই পুলিশ। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলামসহ পিবিআই পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চার্জশীট দাখিলের পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই রংপুর এর পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রিমান্ডে থাকাকালে এএসআই রাহেনুল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন। এছাড়া ধর্ষিতা নিজেও আদালতে তার বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের দেয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, বস্তুগত তথ্য, প্রমাণ এবং ডিএনএ পরীক্ষা শেষে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। জড়িতদের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
মামলার চার্জশিটে উলেখ করা হয়, আসামি এসআই রাহেনুল ইসলাম প্রেমের ফাঁদে ফেলে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে মেঘলার ভাড়া বাড়িতে ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর ধর্ষণ করেন এবং পরে ভিকটিমকে তার বাড়ির কাছে মোটরসাইকেলযোগে পৌঁছে দেন। রাতে বাড়ি ফেরা নিয়ে মেয়েটির সঙ্গে পরিবার রাগারাগি করলে রাত ১০টায় মেঘলার সেই ভাড়া বাড়িতে ফিরে আসে মেয়েটি ।
পরে মেঘলা তার বান্ধবী সুরভী আক্তারের সঙ্গে যোগসাজশ করে অপর দুই আসামি বাবুল ও কালামকে ডেকে এনে ৩০০০ টাকার বিনিময়ে পরের দিন সকালে ভুক্তভোগীকে আবারও ধর্ষণ করায়। এতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা ২৬ অক্টোবর হারাগাছ থানায় মামলা করেন।
পরে মামলাটি পিবিআই এ হস্তান্তর করা হলে অভিযান চালিয়ে ওই দুই নারী এবং বাবুল ও কালামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশ লাইনে সংযুক্ত এএসআই রাহেনুলকেও গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়। সেই সঙ্গে রাহেনুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তদন্ত শেষে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সদস্য রাহেনুল এবং দুই নারী মেঘলা ও সুরভীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং মানব পাচার ও বাবুল এবং কালামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন