রাজস্ব আয় বাড়াতে ভ‚মি নিবন্ধন ফি কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব তুলে ধরেন এমসিসিআই প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নিহাদ কবির।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে আলোচনায় এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, কাস্টম নীতি সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া এবং ভ্যাট নীতির সদস্য মাসুদ সাদিক আলোচনায় অংশ নেন। নিহাদ কবির বলেন, ভ‚মি রেজিস্ট্রেশন ফি এলাকাভিত্তিক নির্দিষ্ট হারে নির্ধারণ করা থাকে, যা প্রকৃত বাজার মূল্য থেকে অনেক কম। সেক্ষেত্রে যিনি ভ‚মি বিক্রি করছেন, তার বৈধ উপার্জনের কিছু অংশ অবৈধ হয়ে যাচ্ছে। কারণ তাকে বাজার মূল্যের চেয়ে কম হারে নির্ধারিত হার অনুযায়ী দেখাতে হচ্ছে। এনবিআর অংশীজনের সাথে আলাপ-আলোচনা করে যদি রেজিস্ট্রেশন ফির হার কমানো যায়, তাহলে দেখা যাবে রাজস্ব আহরণে কোনো ঘাটতি হবে না। এতে করে বৈধ টাকা অর্থনীতিতে থাকবে, সেই সাথে রাজস্ব ব্যবস্থাপনাও স্বচ্ছ হবে।
আলোচনায় এমসিসিআইয়ের ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশন সাব কমিটির চেয়ারম্যান আদিব এইচ খান আরও কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। আদিব খান বলেন, বর্তমানে কর বিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে রিভিশনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা আগে আপিলের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু রিভিশন যথাযথ ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আগের ব্যবস্থা অনুযায়ী আপিলের বিধান পুনর্বহাল করা দরকার।
রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান আইনে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের, যারা বেশি রাজস্ব আদায় করতে পারবে, তাদেরকে প্রণোদনা দেওয়ার বিধান আছে। এ কারণে কর্মকর্তাদের মধ্যে অসম প্রতিযোগিতা হচ্ছে, যার ভুক্তভোগী হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কোনো কোনো সার্কেলে ট্যাক্সের পরিমাণ কম, আবার কোনো সার্কেলে বেশি। তখন আইনের মধ্যে থেকেই বিভিন্ন চাপের সৃষ্টি হয়, যার ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি আমরা পনুর্বিবেচনার অনুরোধ জানাই।
পণ্য প্রচারণায় কোম্পানির মোট টার্নওভারের সর্বোচ্চ শ‚ন্য দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত খরচের যে বিধান আছে, তা বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করে এমসিসিআই। পরে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, প্রাক বাজেট আলোচনায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সংগঠনের নেতারা যেসব প্রস্তাব দেন তাতে শুধু তাদের স্বার্থ ভেবে প্রস্তাব দেন। কিন্তু এমসিসিআই দু পক্ষেরই স্বার্থের কথা ভেবে প্রস্তাব দেন। এমসিসিআইয়ের প্রস্তাবনাগুলো পড়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন