মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় তারকা উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রেকে কয়েকদিন আগে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মার্কেল। তাদের ওই সাক্ষাৎকারের পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে বিশ্বজুড়ে। ওই সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ তুলেছেন এই দম্পতি।
এরপরই নীরবতা ভেঙে মঙ্গলবার এক বিবৃতি দিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস। রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের পক্ষে দেয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, সাসেক্সরা বর্ণবাদের যে অভিযোগ তুলেছেন তা উদ্বেগজনক এবং এটাকে ‘গুরুত্বের সঙ্গে দেখা’ হচ্ছে। হ্যারি ও মেগানকে গত কয়েক বছর যে ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, তা জানতে পেরে পুরো পরিবার ভারাক্রান্ত।
বিবৃতিতে বলা হয়, যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, বিশেষ করে বর্ণবাদ নিয়ে, তা উদ্বেগজনক। কিছু কিছু বর্ণনায় হয়তো অমিল থাকতে পারে তবে এগুলো খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছে এবং পারিবারিকভাবে সেগুলো সমাধান করা হবে। হ্যারি, মেগান এবং আর্চি সবসময়ই আমাদের পরিবারের আদরের থাকবে।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্যের পদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার পর গত বছরই যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান এই দম্পতি। কয়েকদিন আগে নিজেদের প্রথম সিট-ইন সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্স। হ্যারি ও মেগানের এমন অভিযোগের ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় পর বাকিংহাম প্যালেস প্রতিক্রিয়া জানালো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন