মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্বগ্রহণের পর প্রথমবারের মতো ইরানের ওপর আরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দেশটির রাজনীতিক ও আন্দোলনকারীদের মানবাধিকার হরণের দায়ে ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) দুই কর্মকর্তার ওপর এ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইরানের ওপর আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানায়। এতে বলা হয়, আইআরজিসি কর্মকর্তা আলী হেম্মাতিয়ান এবং মাসুদ সাফদারি জিজ্ঞাসাবাদের নামে ২০১৯ ও ২০২০ সালে ইরানের রাজনীতিক ও আন্দোলনকারীদের নির্যাতন করেছেন। এ কারণে তারা এবং তাদের পরিবারের কোনো সদস্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তোনি ব্লিংকেন এক টুইটবার্তায় বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের ব্যাপারে আমাদের এ ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। অপরদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, তেহরানের বিরুদ্ধে মার্কিনিরা বারবার হুমকি ও ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগ করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার তেহরানে ইরানের সাংস্কৃতিক বিপ্লববিষয়ক সর্বোচ্চ পরিষদের বৈঠকে দেওয়া বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। খবর তাসনিম নিউজের। রুহানি বলেন, হুমকি ও সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ ব্যর্থ হয়েছে বলে আজ খোদ নিষেধাজ্ঞা আরোপকারীরাই বলতে বাধ্য হচ্ছেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, জনগণের কঠোর প্রতিরোধ এবং সর্বোচ্চ নেতার দূরদর্শী দিকনির্দেশনায় আমরা কঠিন দিনগুলো অতিক্রম করে এসেছি। হাসান রুহানি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপকারীরা এখন এ কথা অকপটে স্বীকার করছে যে, চলমান অচলাবস্থা দূর করার একমাত্র উপায় পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসা। প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, গত বছর করোনাভাইরাসের মারাত্মক প্রকোপের সময়ও ইরান কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও করোনাভাইরাসকে সাফল্যের সঙ্গে একত্রে মোকাবিলা করেছে। ইরানকে নতিস্বীকারে বাধ্য করার চেষ্টা করলেও তেহরান কখনও নতজানু হয়নি বরং উল্টো উন্নয়নের পথচলা অব্যাহত রেখেছে বলে মন্তব্য করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। রয়টার্স, ইরনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন