বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

উবারের স্বেচ্ছাচারিতা

নিয়ম-নীতির বালাই নেই : হয়রানির শিকার যাত্রীরা দায়বদ্ধতার অভাব রয়েছে : অধ্যাপক ড. শামসুল হক দক্ষ, মেধাবী জনবল বিআরটিএ’র নেই : যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব নজরদারি বাড়ানো হয়েছে : ডি

মো. জাহিদুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০২১, ১২:০৭ এএম

রাজধানীর গণপরিবহনে যাত্রীদের ভোগান্তির সীমা নেই। মূলত নগরের অত্যন্ত নিম্নমানের বাস সার্ভিস, সিএনজিচালিত অটোরিকসা চালকদের স্বেচ্ছাচারিতায় বিপর্যস্ত ঢাকাবাসী উবারকে আশীর্বাদ মনে করেছিল। ২০১৬ সালের নভেম্বরে বিশ্বের ৩৩তম শহর হিসেবে ঢাকায় যাত্রী সেবা দেয়া শুরু করে মোবাইল অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবা উবার। কিন্তু সেবাটি চালুর পর জনপ্রিয় হতে যেমন সময় লাগেনি তেমনি নানা অনিয়মে বিরক্তির কারণ হতেও সময় নেয়নি। উবারের সেবার মান ও চালকদের স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা। এ খাতের সংশ্লিষ্ট ও বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) দায়বদ্ধতার অভাব এবং দক্ষ ও মেধাবী জনবলের ঘাটতিকে দায়ী করেছেন। ভুক্তভোগিদের উবার নিয়ে অভিযোগ করার মতো কোনো জায়গা নেই। বিআরটিএতে অভিযোগ করার অপশন থাকলেও তাও অনেকেরই অজানা। জনবল ঘাটতির কথা বলে দায় এড়িয়েই যেন তাদের দায়িত্ব শেষ।

চালকদের দুর্ব্যবহার ও গালাগালি, নিয়ম বহির্ভ‚তভাবে এবং যাত্রীদের অনুমতি ছাড়া অন্য কাউকে গাড়িতে তোলা, অস্বাভাবিক রুটের ব্যবহার, অ্যাপসে দুরত্ব ও গন্তব্যের মারাত্মক অসঙ্গতি, অফার চলাকালে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা কাটা, নগদ অর্থে ভাড়া পরিশোধের শর্তে রাজি না হলে চালকদের কল কেটে দেওয়া, বিভিন্নরকম বাজে আচরণসহ আরও কতো অভিযোগ উবারের বিরুদ্ধে। একইভাবে গন্তব্য পছন্দ না হলে চালকদের যেতে অনাগ্রহ, প্রতিবাদ করলে যাত্রীকে হুমকি প্রদান ও যাত্রীকে রিকুয়েস্ট ক্যান্সেলে বাধ্য করে জরিমানা আদায় করে। গাড়ির মান নিয়েও রয়েছে অভিযোগ-অনুন্নত গাড়ির মান, পথিমধ্যে হঠাৎ নষ্ট হওয়া, এয়ার কন্ডিশন ঠিক না থাকাসহ বিস্তর অভিযোগ। এ ছাড়া নারী যাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার ও বখাটেপণা করারও অভিযোগ তো আছেই।
ভুক্তভোগীরা বলেন, উবারের সেবার মান, চালকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্ব্যবহারসহ কোন বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথভাবে অভিযোগ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। অনেক যাত্রী ঝামেলা এড়াতে অভিযোগ দিতে চান না। এ ছাড়া চালক বা সেবার মান নিয়ে কোন অভিযোগ করলেও প্রতিকার পাওয়া যায় না। তারা জানান, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে লকডাউনের পর পুনরায় উবার চালু হওয়ার পর ভাড়া অপেক্ষাকৃত বেড়েছে। প্রতি গন্তব্যেই আগের চেয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি ভাড়া আসছে। রহস্যজনকভাবে মাঝেমধ্যে ভাড়ার হার অত্যন্ত অস্বাভাবিক হয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে ওসানেক্স সোর্সিং লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাইফুর রহমান আসাদ বলেন, উবার এ্যাপস ডিলিট করে দিতে চাই। উবারের ড্রাইভাররা কেন বুঝে না? এটা সার্ভিস, ক্ষ্যাপ মারা নয়। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রবিউল বলেন, ট্রিপের কল হওয়ার পরপরই চালক ফোন করে কিংবা চালককে ফোন করলে চালক প্রথমেই জানতে চান কোথায় যাবেন? এরপর গন্তব্য পছন্দ না হলে যাবেন না বলে ফোন কেটে দেন। কিছু কিছু চালক ট্রিপ ফরওয়ার্ড করে দেন। কিন্তু অধিকাংশ চালক নিজেরা ট্রিপ বাতিল করেন না। এতে যাত্রীদের ট্রিপ বাতিল করতে হয় এবং অনেক ক্ষেত্রেই ৩০ টাকা জরিমানা দিতে হয়।

রাতে উবারে চলা নিরাপদ মনে করেন না নারী যাত্রী শারমিন খান কলি। তিনি বলেন, রেগুলার উবারে চলি। তবে রাতে আমি সেইফ ফিল করি না। ডিজিটাল পেমেন্টে চালকদের অনাগ্রহে অতিষ্ট রুপা। তিনি বলেন, উবার-বিকাশের যুদ্ধে হয়রানির শিকার হচ্ছি আমরা যাত্রীরা। বিকাশ পে করা সহজ ও ঝামেলাবিহীন, তাই আধুনিকতার পথ ধরে আমরা বিকাশ-ই অগ্রাধিকার দিব পেমেন্ট মেথোড চয়েস থেকে। এখন উবারের উচিত ড্রাইভারদের সাথে আলোচনা করে এই অশান্তি থেকে মুক্তি দেয়া। ঢাকা বিশ্ববিধ্যালয়ে শিক্ষার্থী আসমা উল হুসনা বলেন, সকাল সকাল উবার কল দিলেই আপু কোথায় যাবেন? কিছু হইল এটা? সব রিক্সামামা হয়ে গেছে! শুধু আসাদ, রবিউল, কলি, আসমা কিংবা রুপা নন। ভুক্তভোগী অন্তত পঞ্চাশ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বিস্তর অভিযোগ।

অন্যদিকে উবার চালকদের অভিযোগ, বিকাশে ভাড়ার ক্ষেত্রে যাত্রীদের ৩০ শতাংশ ছাড়ের টাকা চালকদের ভাড়ার টাকা থেকে কেটে রাখা হচ্ছে। কোন এলাকার যাত্রী পেতে ইচ্ছুক তা নির্ধারিত করে দিলেও উবার থেকে উল্টোদিকের এলাকার গন্তব্যে ট্রিপ দেওয়া হচ্ছে। ভাড়ার হার অস্বাভাবিক ওঠানামার কারণেও যাত্রীদের সঙ্গে অনাকাঙ্খিত কথা কাটাকাটি হচ্ছে।

আলাপকালে একাধিক চালক অভিযোগ করেন, উবার অ্যাপে চালকদের পছন্দমতো গন্তব্য নির্ধারণ করে রাখার ব্যবস্থা আছে। সে অনুযায়ী তারা লোকেশন নির্দিষ্ট করে রাখেন। বিশেষ করে রাতের দিকে যে ট্রিপ শেষ হিসেবে নিতে চান সে ক্ষেত্রে অধিকাংশ চালকই লোকেশন নির্দিষ্ট করে দেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই উবার নির্দিষ্ট করা লোকেশেনের উল্টো দিকের ট্রিপও দিয়ে দিচ্ছে। ফলে চালকরা যাত্রীদের না যাওয়ার কথা বলছেন। তবে চালকদের অধিকাংশই মনে করেন, যদি কোনো চালক না যেতে চান তাহলে তার নিজেরই ট্রিপ ফরওয়ার্ড কিংবা বাতিল করে দেওয়া উচিত।

চালকরা আরও অভিযোগ করেন, বিকাশে ভাড়ার ক্ষেত্রে যাত্রীদের ৩০ শতাংশ ডিসকাউন্টের টাকা চালকদের ভাড়ার টাকা থেকে কেটে রাখা হচ্ছে। উবার নির্ধারিত ২৫ শতাংশের সঙ্গে ডিসকাউন্টের সঙ্গে ভাড়া থেকে আরও ১০ শতাংশ কাটা হচ্ছে। এ কারণে চালকরা মূলত বিকাশে ভাড়া পরিশোধের ক্ষেত্রে আপত্তি জানাচ্ছেন। ভাড়ার হার খুব বেশি ওঠানামার কারণেও যাত্রীরা বিভ্রান্ত হয়ে চালকদের সঙ্গে ঝগড়া করছেন। এছাড়া বিকাশে টাকা পরিশোধ করলেও ক্যাশ-আউট করতে গেলে বাড়তি চার্জ চালদের পরিশোধ করতে হয় বলে জানিয়েছেন তারা।

উবার ছেড়ে কারবাংলা অ্যাপে যোগদানকারি ইব্রাহিম নামের এক চালক বলেন, কারবাংলা একটি দেশিও অ্যাপ। আর এই অ্যাপটির কমিশন উবার বা পাঠাও এর মত ৩০% না। করোনার করণে অনেক ড্রাইভার নিজের সম্পদ বিক্রি করে গাড়ি কিনছে কিছু ইনকামের জন্য। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোম্পানি লুফে নিচ্ছে মূল ইনকামের ৩০%। যা আগে ছিল না।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক ইনকিলাবকে বলেন, উবার কিন্তু একটা টেকনোলজিক্যাল সার্ভিস। একটা আধুনিক সার্ভিস বা প্রতিষ্ঠান। আমাদের এখানে জোড়া-তালি দিয়ে সবকিছু করতে চায়। পুরো পৃথিবীতে রাইড শেয়ার একটা বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু আমাদের এখানে যে রেগুলেটর তাদের যদি লোকবল না থাকে, সে যদি দক্ষ না হয়, তাহলেতো আমরা অভিভাবকহীন হয়ে যাবো। আর অভিভাবকহীন হয়ে গেলে ভালো জিনিসও খারাপ হতে বাধ্য। তিনি বলেন, রাইড শেয়ারের ড্রাইভাররা কিন্তু দায়বদ্ধ থাকে নেটে থাকলে। নেটের রাইরে থাকলে তাদের কোন দায়বদ্ধতার জায়গা নেই। এভাবে চলতে থাকলে পরে একটা সময় দেখা যাবে বিভিন্ন দুর্ঘটনা হচ্ছে। তখন গিয়ে টনক নড়বে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক ইনকিলাবকে বলেন, যেকোন সার্ভিসই প্রথমে খুব ভালো থাকে। কিন্তু আস্তে আস্তে এটা খারাপ হতে থাকে। প্রকৃতপক্ষে এই অ্যাপসভিত্তিস রাইডিং প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করার মতো দক্ষ, মেধাবী জনবল বিআরটিএর নেই।

অনেক যাত্রী এমন অভিযোগও করেছেন, দ্রæত যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে অনেক সময় অসতর্কভাবে ও ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালান উবার চালকরা। ফুটপাতে মোটরসাইকেল উঠিয়ে দিতেও দেখা যায় তাদের। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, উবার ও পাঠাও চালকরা ফুটপাত দিয়ে চলাচলের বিষয়টি সম্পর্কে পুলিশ অবগত রয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ওইসব চালকদের হাতেনাতে ধরা হয়েছে। এ ছাড়াও যেসব এলাকায় ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালকরা চলাচল করে সেইসব এলাকায় নজরদারী বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে ভাড়ার ক্ষেত্রে দ্বৈতনীতির কারণে আকর্ষণ হারাচ্ছে উবারের উবার রেন্টাল সার্ভিস। এই সার্ভিসে যাত্রী তার চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের জন্য একটি গাড়ি ভাড়া নিতে পারেন। এমনকি সারাদিনের জন্য কিংবা এক শহর থেকে আরেক শহরে যাওয়ার সুবিধাও পেতে পারেন এই সার্ভিসের মাধ্যমে। কিন্তু উবার রেন্টালে ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে এক ঘণ্টা অথবা ১০ কিলোমিটারের হিসাবে ভাড়া নির্ধারণ করার কারণে উবার রেন্টালে অস্বাভাবিক ভাড়া উঠছে এবং আকর্ষণ হারাচ্ছে বলে যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ থেকে জানা গেছে। এ ব্যাপারে কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এক ঘণ্টা অথবা ১০ কিলোমিটারে জন্য একটি গন্তব্যে নির্ধারিত সর্বনিম্ন ভাড়া ৪৪৯ টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টার পর মিনিটে ৪ টাকা এবং আর ১০ কিলোমিটারের পর প্রতি কিলোমিটারের জন্য ২২ টাকা হারে ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের। দেখা যাচ্ছে রাস্তা ফাঁকা থাকলে এক ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের অনেক বেশি দূরত্ব অতিক্রম করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে উবার ঘণ্টার হিসাবে নয়, ১০ কিলোমিটারের হিসাবে প্রতি কিলোমিটার ২২ টাকা করে ভাড়া যোগ করছে। অন্যদিকে রাস্তায় যানজট থাকলে প্রতি কিলোমিটার নয়, ঘণ্টার হিসাবে প্রতি মিনিটের জন্য ৪ টাকা করে অতিরিক্ত ভাড়া যোগ করছে। ফলে উভয়ক্ষেত্রেই যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিচ্ছেন। বিশেষ করে যারা ঢাকার পাশে গাজীপুর কিংবা সাভারে যাওয়ার জন্য উবার রেন্টাল সার্ভিস নিচ্ছেন, তাদের অস্বাভাবিক ভাড়া দিতে হচ্ছে যা রেন্ট-এ কার সার্ভিসের প্রায় দ্বিগুণ। যেমন ঢাকা থেকে গাজীপুরে রেন্ট-এ কারের সিঙ্গেল ট্রিপের (শুধু যাওয়া) ভাড়া আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। কিন্তু উবার রেন্টালে এই ভাড়া পাঁচ হাজার টাকার বেশি উঠে যাচ্ছে। শহীদুল ইসলাম নামে একজন যাত্রী জানান, তিনি একবার গাজীপুরে গিয়ে যাওয়া-আসার জন্য অস্বাভাবিক ভাড়ার কবলে পড়ে উবার রেন্টাল ব্যবহার ছেড়ে দিয়েছেন।

জনভোগান্তির এ বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক শীতাংশু শেখর বিশ্বাস ইনকিলাবকে বলেন, উবারের পক্ষ থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে। আমরা পুলিশকে বলেছি। রাস্তার মোড়ে মোড়ে যে মোটরসাইকেলগুলো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাদের ধরে আটকাতে। তারা (চালকরা) কেন অ্যাপ্লাই (অ্যাপস) করছে না? এসব বিষয়ে উবারের সাথে সাথে আমরাও চিন্তিত। তিনি দাবি করেন, জবাবদিহিতার কোন ঘাটতি নেই। তবে জনবলের ঘাটতিতো আছেই।

এসব বিষয়ে জানার জন্য ইনকিলাবের পক্ষ থেকে ই-মেইলে উবারের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। তবে তিনদিন পেরিয়ে গেলেও তাদের পক্ষ থেকে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। উবারের মুখপাত্রের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি দু:খ প্রকাশ করেন। তবে কখন এই মেইলের উত্তর পাওয়া যাবে প্রশ্নে তিনি সঠিক জানাতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এরআগে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও কোন উবার কোন সদুত্তর দেয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
রোমান ১১ মার্চ, ২০২১, ৩:০৬ এএম says : 0
উবারের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক
Total Reply(0)
মিনহাজ ১১ মার্চ, ২০২১, ৩:০৭ এএম says : 0
চালকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্ব্যবহারসহ কোন বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথভাবে অভিযোগ করার কোনো ব্যবস্থা নেই।
Total Reply(0)
আবদুল মান্নান ১১ মার্চ, ২০২১, ৩:০৮ এএম says : 0
এদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক
Total Reply(0)
কামাল রাহী ১১ মার্চ, ২০২১, ৩:০৯ এএম says : 0
আমিও উবারের স্বেচ্ছাচারিতার স্বীকার হয়েছি
Total Reply(0)
হাসান সোহাগ ১১ মার্চ, ২০২১, ৩:০৯ এএম says : 0
রহস্যজনকভাবে মাঝেমধ্যে ভাড়ার হার অত্যন্ত অস্বাভাবিক হয়ে যায়।
Total Reply(0)
দুলাল ১১ মার্চ, ২০২১, ৩:১০ এএম says : 0
ইনকিলাব ও লেখককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি
Total Reply(0)
হাসান আহমাদ যশোরী ১১ মার্চ, ২০২১, ৬:১৭ এএম says : 0
আমিও উবারের স্বেচ্ছাচারিতার স্বীকার হয়েছি
Total Reply(0)
Md. Afzalul Islam ১১ মার্চ, ২০২১, ৮:৩৫ পিএম says : 0
এই উবার এক ট্রিপের জন্য ২ বার টাকা কেটেছে । অভিযোগ করে লাভ হয় নাই । অন্য একদিন ট্রাভেল না করলেও ৮০ টাকা কেটে নেয়। অভিযোগের কোন উত্তর নেই । গাড়িতে উঠলেই ড্রাইভারের কথা কেন উবার অনশন প্রিফার করলাম ।
Total Reply(0)
Md. Afzalul Islam ১১ মার্চ, ২০২১, ৮:৩৫ পিএম says : 0
এই উবার এক ট্রিপের জন্য ২ বার টাকা কেটেছে । অভিযোগ করে লাভ হয় নাই । অন্য একদিন ট্রাভেল না করলেও ৮০ টাকা কেটে নেয়। অভিযোগের কোন উত্তর নেই । গাড়িতে উঠলেই ড্রাইভারের কথা কেন উবার অনশন প্রিফার করলাম ।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন