বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

আজারবাইজানের সংগ্রাম তুরস্কেরও

ইহুদি নেতার মায়ের মৃত্যুতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট ও স্পিকারের শোক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০২১, ১২:০২ এএম

তুরস্কের পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান আকিফ চাতাই কিলিচ বলেছেন, আজারবাইজানের সংগ্রাম একইসাথে তুরস্কেরও সংগ্রাম। বুধবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্যদের এক প্রতিনিধি দলের সরকারি সফরে এই মন্তব্য করেন তিনি। আকিফ চাতাই কিলিচ বলেন, তুরস্ক ও আজারবাইজানের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তিনি বলেন, ‘কারাবাখের ৪৪ দিনের যুদ্ধে আমরা পুরো বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি, যারা আমাদের সাথে যুদ্ধ করতে আসবে তাদেরকে অবশ্যই দুই রাষ্ট্রের সাথে একসাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হতে হবে।’ কিলিচ আরো বলেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান আজারবাইজানের আনন্দকে আমাদের আনন্দ, এর দুঃখকে আমাদের দুঃখ, এর সংগ্রামকে আমাদের সংগ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’ তুর্কি প্রতিনিধি দল সফরের সময় আজারবাইজানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হায়দার আলিয়েভের মাজার ও বাকুর ‘তুর্কি শহীদের কবরস্থান’ জেয়ারত করেন। কিলিচ একইসাথে অ্যালি অব মারটিয়ার্স (শহীদদের গলি) সমাধিসৌধ পরিদর্শন করেন এবং ওই শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, যারা ১৯৯০ সালের ২০ জানুয়ারিতে বাকু ও তার পাশের এলাকাগুলোতে সোভিয়েত বাহিনীর হাতে শহীদ হন। আজারবাইজানের স্বাধীনতার প্রাক্কালে সংগঠিত এ গণহত্যায় ১৩০ জনের বেশি ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার কিলিচ ও তার নেতৃত্বের তুর্কি প্রতিনিধি দল আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সাথে সাক্ষাত করেন। পরে তারা দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার সাহিবা গাফারোভার সাথে দেখা করেন। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর, আর্মেনিয়া আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করলে দুই দেশ নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ৪৪ দিনের যুদ্ধে আর্মেনিয়ার দখল থেকে মুক্ত করে আজারবাইজান বিভিন্ন শহর ও অন্তত তিন শ’ জনবসতি ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নেয়, যা প্রায় তিন দশক আর্মেনীয় দখলের অধীনে ছিল। যুদ্ধ বন্ধ করতে ও সংঘাতে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের উদ্দেশ্যে দেশ দুইটি রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ১০ নভেম্বর একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি আজারবাইজানের জয় ও আর্মেনিয়ার পরাজয় হিসেবে মনে করা হয়। চুক্তিটির ফলে আর্মেনিয়াকে নাগরনো কারাবাখ থেকে তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সরিয়ে ফেলতে হচ্ছে। যুদ্ধবিরতি তদারকে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে স্মারক চুক্তির আওতায় নাগরনো কারাবাখের আগদাম অঞ্চলে একটি যৌথ মনিটরিং সেন্টার চালু করা হয়েছে। যৌথ এই মনিটরিং সেন্টার থেকে তুরস্ক ও রাশিয়ার সেনাবাহিনী যৌথভাবে যুদ্ধবিরতি তদারকি করছে। অপরদিকে, তুরস্কে থাকা ইহুদি স¤প্রদায়ের সহকারী প্রেসিডেন্টের মায়ের মৃত্যুর পর তাকে সমবেদনা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। স¤প্রতি ইহুদি নেতা এরোল কোহেনের মা বেকি কোহেন মারা যান। তুরস্কের পার্লামেন্টের স্পিকার মুস্তাফা সেনতোপও এরোল কোহেনকে সমবেদনা জানিয়ে তার সঙ্গে ফোনালাপ করেন। এ খবর দিয়েছে ডেইলি সাবাহ। খবরে বলা হয়, তুরস্কে থাকা ইহুদিরা হচ্ছেন মূলত সেফার্ডিক ইহুদিদের বংশধর। কয়েকশ বছর ধরেই তারা তুরস্কে বসবাস করে আসছে। মূলত ইস্তাম্বুলের আশপাশে তারা বসবাস করেন। গত কয়েক দশকে তাদের একটি বড় অংশ ইসরাইলে পাড়ি দিয়েছেন। ২০০৩ সালে ইস্তাম্বুলের দুটি সিনাগগে জঙ্গি হামলা হয়। এ ঘটনার পর থেকে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনে আতঙ্কবোধ করেন দেশটির ইহুদি স¤প্রদায়। ২০১৫ সালে দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে হানুক্কাহ আয়োজন করতে পেরেছিলেন তারা। তবে স¤প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ইসরাইলে নতুন করে তুরস্কের রাষ্ট্রদ‚ত নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। ইয়েনি শাফাক।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Habib ১২ মার্চ, ২০২১, ৭:২৮ এএম says : 0
আল্লাহ তাঁকে নেক হায়াত দান করুন
Total Reply(0)
Neamat Ullah ১২ মার্চ, ২০২১, ৭:২৮ এএম says : 0
ভালবাসা অবিরাম লিডারের জন্য
Total Reply(0)
Kader sheikh ১২ মার্চ, ২০২১, ৭:২৯ এএম says : 0
Inshallah Islam abar kayem hobe..
Total Reply(0)
রিমা সিকদার ১২ মার্চ, ২০২১, ৮:০৫ এএম says : 0
Long live our moslem family
Total Reply(0)
মেহেদী ১২ মার্চ, ২০২১, ৮:০৬ এএম says : 0
এরদোগান এভাবেই সব মুসলিম দেশের পাশে দাঁড়াবে বলে আশা রাখি।
Total Reply(0)
জন্মভুমি ছাতক ১২ মার্চ, ২০২১, ৮:০৬ এএম says : 0
তুরস্ককে নিয়ে আবারও মুসলিম বিশ্ব স্বপ্ন দেখছে...
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন