যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের অক্সিলারি লেফটেন্যান্ট হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন সৈয়দ এনায়েত আলী। গত ৯ই মার্চ তিনি এ পদোন্নতি পান। উল্লেখ্য, এনউয়াইপিডি ১৯৫০ সালে অক্সিলারি পুলিশ বিভাগ গঠন করা হয় ।এ বিভাগে প্রথম কোন বাংলাদেশি লেফটেন্যান্ট হিসেবে সৈয়দ এনায়েত আলী এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন।
জানা যায়, বাংলাদেশ বক্সিংয়ের উজ্জ্বল নক্ষত্র প্রাক্তন জাতীয় হেভিওয়েট বক্সার সৈয়দ এনায়েত আলী দক্ষিণ এশিয়ান বক্সিংয়ের রৌপ পদক প্রাপ্ত হেভিওয়েট বক্সার। ১৯৮৮ সালের বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতায় হেভিওয়েট ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ খেতাব অর্জন করেন তিনি ।১৯৮৯ সালে আমেরিকায় চলে আসেন। ২০০২ সালে নিউইয়োর্ক পুলিশ বিভাগে অক্সিলারি পুলিশ হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে দক্ষতার জন্য অফিসার অব দ্য ইয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৭ সালে কমিউনিটির বেস্ট সার্ভিসের জন্য ততকালীন প্রেসিডেনট বুশ কর্তৃক পুরস্কৃত হন। এনউয়াইপিডি ১৯৫০ সালে অক্সিলারি পুলিশ বিভাগ গঠন করে। বাংলাদেশী সৈয়দ এনায়েত আলী এই বিভাগে ২০০৯ সালে সার্জেন্ট হন।
এখানে আরো উল্লেখ্য যে, নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে ৪০০০ অক্সিলারি পুলিশ রয়েছেন। লেফটেন্ট সৈয়দ এনায়েত আলী কুইন্স নর্থের ১১৪ পুলিশ প্রিসেঙ্কেটে প্রায় ১৯ বছর যাবত কর্মরত রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশী আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন (বাপার) এর করেসপন্ডিং সেক্রেটারী পদে দায়িত্ব পালন করছেন। সৈয়দ এনায়েত আলী নিউইয়র্কের কুইন্সে স্ত্রী লাভলী এবং একমাত্র কন্যা মাইশাকে নিয়ে বসবাস করছেন। সৈয়দ এনায়েত আলীর এই পদোন্নতিতে অনেকে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গ উল্লেখ্য যে, এনওয়াইপিডির সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩৬ হাজার। নিয়মিত বাহিনীতে প্রায় তিন শ বাংলাদেশি রয়েছেন। নিউইয়র্ক সিটির ট্রাফিকসহ পুলিশের অন্যান্য বিভাগ মিলে ১ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। এটি মূলত ভলান্টারী সার্ভিস, প্রায় ১০০ জন বাঙ্গালী ভলান্টারী সার্ভিস করছেন কমুনিটিকে সাহায্য করার জন্য। কোনো পারিশ্রমিকের বিনিময়ে নয় বরং কমিউনিটিকে সাহায্যের উদ্দশ্যে এই সকল বাঙালিরা কাজ করে যাচ্ছেন। তারা অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে চলেছেন নিরন্তর। কমিউনিটিকে এবং পুলিশ ডিপার্টমেন্টে সাহায্য করার জন্য তারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে এখানে যোগদান করে এবং পুলিশ ও কমিউনিটিকে তারা বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে |
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন