আজ কক্সবাজারে নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে উদযাপিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। এ উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, কক্সবাজার পৌরসভাসহ বিভিন্ন সরকারি, আধা—সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের গৃহীত কর্মসূচী সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়।
সরকারি, আধা—সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এছাড়া রয়েছে বুধবার সকাল ৯টায় সৈকতের লাবণী পয়েন্টে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, বেলা ১১টায় কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে শিশুদের অংশগ্রহণে রচনা, আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিকাল ৪টায় শহীদ দৌলত ময়দানে আলোচনা সভা, বিকালে সৈকতে ঘুড়ি উৎসব এবং সন্ধ্যায় সৈকতে আতশবাজি ও ফানুস উৎসব।
সবশেষে সন্ধ্যা ৭টায় শহীদ দৌলত ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ।
তাছাড়া দিনব্যাপী জেলাব্যাপী বঙ্গবন্ধুর আলোকিত জীবন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক তথ্যচিত্র, চলচ্চিত্র, আলোক প্রদর্শনী, সকল হাসপাতাল, এতিমখানা, শিশু পরিবার, জেলখানা, হতদরিদ্র মানুষের মাঝে উন্নত মানের খাবার বিতরণ এবং সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ প্রার্থনা।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে কক্সবাজারের সকল সরকারি, আধা—সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন সেজেছে বর্ণিল আলোকসজ্জায়।
কক্সবাজার পৌরসভার কর্মসূচিঃ
আজ ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কক্সবাজার পৌরসভা পৃথক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কক্সবাজার পৌরসভা কার্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ আলোক সজ্জা, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, অরুণোদয় প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, সকাল ১১টায় পৌরসভা মিলনায়তনে জন্মশতবার্ষিকীর কেক কাটা, বাদ জোহর পৌরসভার এবাদত খানায় দোয়া মাহফিল, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ব্যানার—ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিতকরণ প্রভৃতি।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।
জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে চলতি বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয় সরকার। মুজিববর্ষ উদযাপনে কর্মসূচিগুলো কোভিড—১৯ মহামারীর কারণে নির্ধারিত সময়ে যথযাথভাবে করা সম্ভব না হওয়ায় সরকার মুজিববর্ষের সময়কাল ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন