বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোষহীন ও বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতা। বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মদিনকে ঐতিহাসিক দিন উল্লেখ করে তার রাজনৈতিক সচিব, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এম পি বলেন, এই দিনে বঙ্গবন্ধুর জন্মের মধ্য দিয়েই আমি মনে করি তিনি আমাদের এই স্বাধীনতার বীজ রোপণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি উপলব্ধি করেছিলেন- এই দেশ বাঙালিদের জন্য হয় নাই। এক দিন বাংলার ভাগ্য নিয়ন্ত্রক বাঙালিদের হতে হবে। এই লক্ষ্য সামনে রেখে তিনি ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ গঠনসহ ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার বীজ রোপণ করেন।
বুধবার ভোলায় জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মোৎসব ও র্যালির উদ্বোধন কালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
বঙ্গবন্ধুকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, যে নেতা জীবনের ১৩টি মূল্যবান বছর কারাগারে ছিলেন, একাধিকবার ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে এসেছেন। কিন্তু তিনি আপস করেননি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোষহীন ও বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতা। একাত্তরের ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে নিরস্ত্র বাঙালিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেন। তিনি তার জীবন বাঙালির জাতির জন্য উৎসর্গ করে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সাধারণ মানুষের নেতা।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, তিনি আমাকে তার পাশে রেখেছিলেন, তার সঙ্গে পৃথিবীর বহু রাষ্ট্রে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। বিদেশি রাষ্ট্রনায়করা বঙ্গবন্ধুকে সম্মান দেখাতেন। আজ পৃথিবীর বহু রাজনীতিবিদরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা করছেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্ন ছিল। স্বাধীনতার অর্জনের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছিল। অপরটি অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন, যা তার কন্যা শেখ হাসিনা বাস্তবায়িত করে চলেছেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় স্বপ্ন তার কন্যার হাতেই বাস্তবায়িত হবে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ১৯৮১ সালে দলের পতাকা তুলে দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ কারণেই আজ বাংলাদেশের অনেক অর্জন; পৃথিবীর মুখে বাংলাদেশ মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শহরের ভাসানী মঞ্চে শতবর্ষ উৎসব উদযাপন ও র্যালীর উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তোফায়েল আহমেদ।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জুলফিকার আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলীয় নেতাকর্মীরা। পরে আলোচনা সভা শেষে শহরে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন