প্রধান শিক্ষক আল-আমিন খানকে মারধর করার প্রতিবাদে অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যানের লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে মানববন্ধন পন্ড করে দেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার গাজীরহাট সেতুর উপর আয়োজিত ওই মানববন্ধনে ওই ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মন বাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদ চত্তরে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক আল আমিন মুরাদনগর উপজেলার জারেরা (জাড্ডা) গ্রামের মৃত ওয়াহিদ খানের ছেলে। সে যেমন ওই বিদ্যালয়ে সুনামের সাথে চাকরি করছিলেন, তেমনি নিজ গ্রামেও বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে তাঁর সরব উপস্থিতি। তাঁর উপর এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এলাকার সকল শ্রেণি পেশার মানুষ মারাত্বক ভাবে মর্মাহত। বক্তারা অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যানকে আইনের আওতায় এনে তাকে পদ থেকে অপসারণের দাবি জানায়। অন্যথায় কঠিন আন্দোলনসহ নবীনগর-মুরাদনগর-কুমিল্লা-চট্টগ্রাম সড়ক অচল করে দেওয়ার হুশিয়ারি দেয় বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, ঢাকাস্থ বাঙ্গরা বাজার থানা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রুবেল সরকার, বাঙ্গরা বাজার থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম ও আরিফ খান।
শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের শেষের দিকে ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক সমর্থিত নবীনগর উপজেলার উত্তর বাঙ্গরা বাজার কমিটির সভাপতি রবিউল আউয়ালের নেতৃত্বে একদল যুবক অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারিরা মানববন্ধনের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে বক্তব্য রাখা লোকজনের উপর কিল-ঘুষি মারে এবং সাংবাদিকদের ক্যামেরাও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আচমকা এ ঘটনায় মানববন্ধনে উপস্থিত হওয়া লোকজন আতংকে দিক-বেদিক ছুটাছুটি করে পড়ে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মন বাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদ চত্তরে সাধারণ একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে লাউর ফতেহপুর আর.এন.টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল-আমিন খানের উপর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আক্রমণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরতে থাকলে ছাত্র-ছাত্রীসহ সর্বমহলে নিন্দা প্রকাশ পায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন