পি.কে হালদারসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে আরও ৫টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া পিকে হালদারের ৩৩ সহযোগীর সম্পদ বিবরণী চাওযা হয়েছে। উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিমের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার এসব মামলা দায়ের করা হয়।
এজাহারে কাগুজে প্রতিষ্ঠান ‘লিপারো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’র নামে ১৭৪ কোটি টাকা, ‘আর বি এন্টারপ্রাইজ’র নামে ৫৫ কোটি টাকা, ‘ওকায়ামা লিমিটেড’র নামে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ‘ইমেক্সো’র নামে ৫৮ কোটি টাকা এবং ‘কনিকা এন্টারপ্রাইজ’র নামে ৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহার মতে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের এমডি মো. রাশেদুল, ভারপ্রাপ্ত এমডি মো. আবেদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এম এ হাশেম পি কে হালদারের সঙ্গে সহযোগিতা ও প্রতারণার মাধ্যমে কোনো মর্টগেজ গ্রহণ ছাড়াই ৫টি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ৪শ’ ৩৪ কোটি ৬ লাখ টাকা ভুয়া ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ভুয়া কোম্পানি ও বিভিন্ন ব্যক্তির হিসাবে ওই অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় ৩৭ ব্যক্তি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এর আগে দায়েরকৃত ১০টি মামলায় ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে প্রায় ৮শ’ কোটি টাকা ভুয়া ঋণের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্নসাতের অভিযোগ আনা হয়। সবগুলো মামলায়ই পিকে হালদার (প্রশান্ত কুমার হালদার) অভিন্ন আসামি। অন্য আসামিরা হলেন, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, এমডি মো. রাশেদুল হক, ভারপ্রাপ্ত এমডি মো. আবেদ হোসেন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সদস্যগণ। এরও আগে গত ২৫ জানুয়ারি পি কে হালদার কেলেঙ্কারিতে ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩৩ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা করে দুদক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন