শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শাল্লায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ষড়যন্ত্রের অংশ

আলোচনা সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০২১, ১২:১৩ এএম

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় হিন্দুদের বাড়ি ও মন্দিরে হামলা ঘটনায় দোষীদের কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জিল্লর রহমান পরিষদ আয়োজিত প্রয়াত সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, দেশে যখন বিদেশি মেহমান আসছে, তখন পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার জন্য, বাংলাদেশে যে শান্তি স্থিতি আছে তার ওপর কালিমা লেপন করার জন্য এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য পরিকল্পিতভাবে শাল্লায় এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজ দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, দেশ নিয়ে যখন বিদেশিরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ, অনেক দেশের প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশে আসছেন এবং অনেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, তখন নতুনভাবে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে তারা আজ ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা, সেটি ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
তিনি বলেন, আমি দেখলাম আলমগীর সাহেব তড়িঘড়ি করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে নানা কথা বলেছেন। আমি তাকে পেছনে ফিরে তাকানোর এবং আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখার অনুরোধ জানাবো।

২০০১ সালের নির্বাচনের পর যেভাবে গ্রাম ঘেরাও করে কোটালীপাড়া, ভোলা, বরিশালের আগৈলঝাড়া, সিরাজগঞ্জসহ সারাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছিল। ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আমাদের আশ্রয় কেন্দ্র ও লঙ্গরখানা খুলতে হয়েছিল। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছিল, কারণ তারা কেন নৌকায় ভোট দিল। অনেক নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল, কারণ কেন তার বাবা আওয়ামী লীগ করে বা নৌকায় ভোট দিয়েছিল। তাদের (বিএনপি) ক্ষোভ বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আওয়ামী লীগকে ব্যাপক সমর্থন করে। আর এটি তারা করে আমাদের অসাম্প্রদায়িক চরিত্রের জন্য। কারণ, আমরা মনে করি, আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি। আর বিএনপি মনে করে তাদের প্রথম পরিচয় কে মুসলিম,কে হিন্দু,কে বৌদ্ধ-খ্রিস্টান।

বিএনপিকে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, শাল্লার ঘটনায় তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চয় বেরিয়ে আসবে কারা উস্কানি দিয়েছে, কোন দলের নেতারা উস্কানি দিয়েছে এবং কোন ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী তাদের পেছনে থেকে বাতাস দিয়েছে, সেগুলো নিশ্চয় ফিরে আসবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে অনুরোধ জানাবো, এ ধরনের অপরাজনীতি না করে আপনারা ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে সুস্থ রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসুন। অন্যথায় জনগণ আপনাদের অতীতেও ক্ষমা করে নাই, এখনও করবে না। তিনি বলেন, ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগের প্রথম কাউন্সিল হয় জিল্লুর রহমান সেটির কাউন্সিলর ছিলেন। দেশে আওয়ামী লীগের প্রথম কাউন্সিলর হয়তো আর কেউ বেঁচে নেই। সেই সময় থেকে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে বুকে ধারণ করে এবং নেতার প্রতি আস্থাশীল থেকে তিনি কখনও বিচ্যুত হননি। তিনি অত্যন্ত ভদ্র এবং ধৈর্যশীল ব্যক্তি ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জিল্লুর রহমান পরিষদের সভাপতি এম এ করিম। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান খোকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন