চট্টগ্রাম ব্যুরো : ভাদ্র মাসের শেষ দিকে এসে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বিরাজমান লঘুচাপ এবং বর্ষারোহী মৌসুমি বায়ুমালার দ্বিমুখী সক্রিয় প্রভাবে দেশের অধিকাংশ জায়গায় থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে লঘুচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখানো হচ্ছে। গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে দিনাজপুরে ৪৩ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১৩ মি.মি. বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের অদূরে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বা বলয় ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে জোরালো অবস্থায় বিরাজ করছে।
আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ২ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া বিভাগ সতর্কবার্তায় জানায়, বিরাজমান লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।