জাপানের প্রধান দ্বীপ হনশুতে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২। আর গভীরতা ছিল ৬০ কিলোমিটার। স্থানীয় সময় শনিবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় কম্পনটি আঘাত হানে।
শনিবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় এই উপকূল কেঁপে উঠেছে বলে জানিয়েছে জার্মানির ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড)। তবে এতে এখন পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। দেশটির সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে হনশু উপকূলের জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, মিয়াগি প্রিফেকচারে এক মিটার উচ্চতার সুনামির শঙ্কা রয়েছে।
এনএইচকের প্রতিবেদন অনুযায়ী শনিবার শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের পর টোহুকু ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি ওনাগাওয়া নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এবং কোনো ধরনের বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে কি না তার তদারকি চালাচ্ছে।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল থেকে দক্ষিণে জাপানের রাজধানী টোকিওর অবস্থান আনুমানিক ৪০০ কিলোমিটার দূরে হলেও সেখানে ভূ-কম্পন অনুভূত হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই মিয়াগিতে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছিলেন। শনিবারের ভূমিকম্পের পর ফের উস্কে উঠেছে বছর দশেক আগে সুনামির আতঙ্কের স্মৃতি। ২০১১ সালের ১১ মার্চ প্রবল ভূমিকম্পের কেঁপে উঠেছিল জাপান। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৯। ওই ঘটনায় শুরু হয়েছিল সুনামি। পাশাপাশি, ফুকুশিমা ডাইচি পরমাণু কেন্দ্রে বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটেছিল। গোটা বিপর্যয়ের আঁচ লেগেছিল দেশের মিয়াগির গায়েও। শনিবারের ভূমিকম্পে সেই আতঙ্কই ফিরে এল। সূত্র : আনন্দবাজার
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন