বিএনপি ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) রুহুল আলম চৌধুরী আর নেই।
গতকাল শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মরহুম রুহুল আলম চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিএমএইচের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে মরহুম রুহুল আলম চৌধুরীর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি’র আহবায়ক ও সদস্য স্থায়ী কমিটি বিএনপি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার বিকেলে মরহুমের জানাযার নামাজ বনানী সামরিক করব স্থানের পাশের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে বিএনপি’র ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিএনপি’র পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, কর্ণেল (অব.) জয়নাল আবেদিন, এডভোকেট সামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মেজর হানিফ, মেজর সারোয়ার, শায়রুল কবির খান, হাসান বিন শফিক সোহাগ, একমাত্র মেয়ের জামাতা এ কে এম মহিউদ্দিন প্রমূখ। এর পর মরহুম রুহুল আলম চৌধুরীর লাশ বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মেজর জেনারেল (অবঃ) রুহুল আলম চৌধুরী স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন ফরিদপুর বিভাগীয় কমিটির আহবায়ক ছিলেন।
জানা যায়, রুহুল আলম চৌধুরী ১৯৪৭ সালের ২৪ আগস্ট কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা গ্রামের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। রুহুল আলম ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সামরিক একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে আর্মার্ড কোরে যোগদান করেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মড কোরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও এ কোরের প্রথম পরিচালক।
এছাড়া তিনি কর্মরত থাকা অবস্থায় মাস্টার জেনারেল অব দ্য অর্ডন্যান্স ছিলেন। এরআগে তিনি বিভিন্ন সময় ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স), প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতর, বিডিআর, মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামরিক উপদেষ্টা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং প্রেসিডেন্টের সামরিক সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৯৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ২০০৬ সালে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলে তিনি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান এবং কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে ১১ জানুয়ারি ২০০৭ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি দলের ভাইস-চেয়ারম্যান হন।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন