কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল, আলোচনাসভা ও কেক কাটাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্মরণ করলো পার্টির নেতাকর্মীরা। দলের নেতারা পৃথক পৃথক ভাবে কর্মসূচি পালন করে।
এইচ এম এরশাদের ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকেই জাপার বনানী ও কাকরাইল কার্যালয়ে কোরআন তেলওয়াতের আয়োজন করা হয়। আলোকসজ্জা করা হয়েছে কার্যালয় দুটিতে। এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে বনানীতে আয়োজন করা হয় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। দুপুর ১২টায় জাপার বনানী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। এসময় জাতীয় যুব সংহতির আনা বিশাল আকৃতির কেক কাটা হয়। আলোচনা সভায় বাবলু তার বক্তব্যে বলেন, দেশে কোন মানুষের নিরাপত্তা নেই। সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে হামলা হচ্ছে সরকারের সুবর্ণজয়ন্তীর উপহার। একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় সরকারের সমর্থন ছাড়া সংখ্যালঘুদের ওপর কেউ হামলা করতে পারে এটা সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেনা। যারাই হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সুনীল শুভরায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আব্দুস সাত্তার মিয়া প্রমুখ।
দুপুরে পার্টির কো চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা উদ্যাগ্যে শ্যামপুর বালুর মাঠে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভার। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। সভা শেযে এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়।
বিকেলে এরশাদের সহধর্মিণী ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের গুলশানের বাসভবনে আয়োজন করা হয় দোয়া মাহফিল। এতে রওশন এরশাদ ছাড়াও জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, পুত্র রাহগীর আলমাহী এরশাদ এমপি, ফখরুল ইমাম এমপি, সালমা ইসলাম এমপি, রওশন আরা মান্নান এমপি প্রমুখ অংশ নেন।
সন্ধ্যায় জাপার কাকরাইল কার্যালয়ে পৃথক আলোচনা সভার আয়োজন করে জাপা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি ও জাতীয় ছাত্র সমাজ। এসময় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির উদ্যাগে ৯২ পাউন্ডের কেক কাটেন জিএম কাদের।
এরপর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, জাতীয় ছাত্র সমাজ, জাতীয় কৃষক পার্টির কেক কাটেন এরশাদের ভাই পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
এসময় জিএম কাদের বলেন, দেশে বৈষম্যের রাজনীতি চলছে। মেধাবীরা এখন মূল্যায়িত হচ্ছে না। বৈষম্যের প্রতিবাদেই স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল। সরকারি দলের লোক না হলে মুল্যায়িত হচ্ছে না। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের আমলেই আমরা দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ান হয়েছি। মানুষ এ থেকে পরিত্রাণ চায়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ করলে ক্যাসিনিও কেলেঙ্কারি, দুর্নীতির বিচার হয় না। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের বিচার হয় না। বিচার বিভাগের ওপর থেকে দেশবাসীর আস্থা উঠে যাচ্ছে। যা গণতন্ত্রের জন্য শুভকর নয়।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এরশাদ আমৃত্যু দেশের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করেছেন। যার কারণে মৃত্যুর পরও তিনি জনগণের ভালবাসা পেয়েছেন, সর্ব্বোচ্চ সম্মান পেয়েছেন।
এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে সন্ধ্যায় পৃথকভাবে আলোচনা সভা ও কেক কাটে এরশাদ ট্রাস্টি বোর্ড। জাপার বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীদের এই অনুষ্ঠানে আসার আহবান জানানো হলেও পার্টির কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন