একেই হয়তো বলে দুর্ভাগা, দিনের খেলা শেষ হতে পাঁচ ওভারের মতো বাকি। ৯৯ রানে অপরাজিত খুলনার তুষার ইমরান। রিস্ক নিয়েই এক রান নেওয়ার জন্য ছুটলেন, কিন্তু পৌঁছাতে পারলেন না লক্ষ্য পর্যন্ত। আবু জায়েদ রাহির থ্রো স্ট্যাম্প ভেঙে দিলো। ফলে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে আরও একটি সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন তুষার ইমরান। তবে তার অনবদ্য এই ৯৯ রান আর সাথে ইমরুল কায়েসের ৯০ রানে ভর করে বঙ্গবন্ধু ওয়ালটন ২২তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে সিলেটের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে ভালো অবস্থানে স্বাগতিক খুলনা বিভাগ। প্রথম দিন শেষে খুলনার সংগ্রহ ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান।
যদিও দিনের শুরুটা ভালো ছিলো না খুলনার। দলীয় ২৫ রানে ইমরানুজ্জামানকে ফিরিয়ে সিলেট বিভাগকে ভালো শুরু এনে দেন আবু জায়েদ রাহি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে খুলনাকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান ইমরুল কায়েস ও রবিউল ইসলাম রবি। এই জুটিতে আসে ১১০ রান। দলীয় ১৩৫ রানে ভালো খেলতে থাকা রবি এবাদতের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান। রবি ফিরে গেলেও খুলনার রানের চাকা সচল রাখেন ইমরুল কায়েস ও তুষার ইমরান। ভালো খেলে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন ইমরুল। তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে সেঞ্চুরিটা পেলেন না তিনি। উইকেট রক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ৯০ রানে। দলীয় সংগ্রহ তখন ১৫৪ রান। ১২৭ বলে ১০টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ছিলো ইমরুল কায়েসের ইনিংসটি।
এরপর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে খুলনার রানের চাকা সচল রাখেন অভিজ্ঞ তুষার ইমরান। এ সময় অল্প রানের ব্যবধানে দু’টি উইকেট হারায় খুলনা। ২২ রান করে সোহান ও আর ১০ রান করে আউট হন জিয়াউর রহমান জনি। তবে অন্যপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিতে থাকেন দেশের প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তুষার ইমরান। হাটছিলেন সেঞ্চুরির পথেই। পৌঁছেছিলেন একেবারে কাছেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলো না। দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে ৯৯ রানে থামতে হয় তাকে। ১১৭ বল খেলে ১৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে এ রান করেন তুষার ইমরান।
দিনের বাকিটা সময় মঈনুল হাসান সোহেলকে নিয়ে কাটিয়ে দেন নাহিদুল ইসলাম। নাহিদুল ২৪ রানে আর সোহেল ২ রানে অপরাজিত আছেন। সিলেট বিভাগের হয়ে দুই পেসার আবু জায়েদ রাহি ও এবাদত হোসেন নেন ২টি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ ও অধিনায়ক অলক কপালি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন