বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

জাকি-মোশাররফ-মওদুদ : এক বৃন্তে তিনটি ফুল

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

মওদুদ ভাই মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে (প্রাক্তন অ্যাপোলো হাসপাতালে) তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তার অসুখটির নাম ঠিক কী ছিল, সেটি জানা যায়নি। এভার কেয়ার থেকে মাউন্ট এলিজাবেথে তাঁকে শিফ্ট করা হয়। তাঁর মৃত্যুর খবর ছবিসহ ছাপা হয়েছে। বিখ্যাত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সেটাই হয়ে থাকে। মৃত্যুর পর তাঁরা শুধুই ছবি হয়ে থাকেন। কিন্তু আসলেই কি তাই? তারা কি এখন শুধুই ছবি? মওদুদ ভাই মৃত্যুর পর কি শুধুই ছবি?

যারা মওদুদ ভাইকে শুধুমাত্র রাজনীতির নিরিখে বিবেচনা করবেন, তাদের কাছে তিনি শুধুই ছবি। তাঁর রাজনৈতিক জীবন ছিল বর্ণাঢ্য। দেশে শুধুমাত্র সরকার প্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান ছাড়া আর সমস্ত শীর্ষ পদ তিনি অলঙ্কৃত করেছেন। জেনারেল এরশাদের আমলে তিনি ছিলেন যোগাযোগ মন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট। জেনারেল জিয়ার আমলে তিনি ছিলেন উপ প্রধানমন্ত্রী। বেগম খালেদা জিয়ার আমলে ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী। মুজিব নগর সরকারের সময় তাঁকে পোস্ট মাস্টার জেনারেল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এতক্ষণ ধরে যা কিছু বলা হলো তার মধ্যে নতুন কিছুই বলা হয়নি। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তার জন্ম বৃত্তান্তে এসব তথ্য থাকার কথা। তবে যেসব পত্রপত্রিকাকে এক শ্রেণির মানুষ মেইন স্ট্রিম পত্রিকা বলেন, সেগুলোতে এত বিস্তারিত দেখলাম না। মন্ত্রীর পদমর্যাদায় আসীন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ উপদেষ্টা তৌফিক এলাহী চৌধুরী মর্মবেদনার সাথে একটি উক্তি করেছেন। তিনি বলেছেন, মওদুদ আহমেদের লাশ সর্ব সাধারণ্যে প্রদর্শনের জন্য শহীদ মিনারে রাখা হয়েছিল। সেখানে জনতার ঢল নেমেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের কোনো বড় নেতা মওদুদ আহমেদকে শেষ দেখা দেখতে যাননি। তিনি বলেছেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। নয়ন সমূখ থেকে মওদুদ ভাই চলে গেছেন। কিন্তু তাই বলে অনেক মানুষের মন থেকে তিনি হারিয়ে যাননি। একটি মানুষকে যদি সঠিকভাবে বিচার বিবেচনা করতে হয় তাহলে সেই সমগ্র মানুষকেই বিচার করতে হয়। তাঁকে বিভিন্ন দিক থেকে, বিভিন্ন আঙ্গিক থেকে বিবেচনা করতে হয়।

দুই
মওদুদ আহমেদ কি শুধুমাত্র পলিটিশিয়ানই ছিলেন? এর বাইরে কি তার অন্য কোনো সত্তা ছিল না? অবশ্যই ছিল। তিনি ছিলেন একজন স্কলার। স্কলাররা নাকি শুধুমাত্র মস্তিষ্ক দিয়েই পরিচালিত হন। হৃদয়বৃত্তির দ্বারা তাড়িত হন না। কথাটি অনেকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও মওদুদ আহমেদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সেই প্রসঙ্গ আমি একটু পর আলোচনা করছি। তার আগে তাঁর স্কলাসটিসিটি প্রসঙ্গ। পৃথিবীতে অনেক বড় মাপের পলিটিশিয়ান আছেন, যারা একই সাথে বড় মাপের লেখকও। পন্ডিত জওহর লাল নেহ্রু তিনটি বই লিখে ক্ষণজন্মা হয়ে আছেন। এগুলো হলো (১) An Autobiography বা ‘একটি আত্মজীবনী’ (২) Glimpses of World History বা ‘ইতিহাসের কিছু চিত্র এবং (৩) Discovery of India বা ‘ভারত আবিষ্কার’। মওলানা আবুল কালাম আজাদ ধর্মীয় গ্রন্থসহ ২৬টি গ্রন্থ লিখে গেছেন। তারমধ্যে India Wins Freedom বা ‘ভারত স্বাধীন হলো’ একটি কালজয়ী গ্রন্থ। কার্ল মার্কসের ‘ডাস ক্যাপিটাল’ গ্রন্থের ব্যাখ্যা ও প্রায়োগিক দিক সম্পর্কে একাধিক গ্রন্থ লিখে ভি আই লেলিন অমর হয়ে আছেন। আর মাও সে তুংয়ের ক্ষুদ্রাকৃতি রেড্ বুক এক সময় চীন কেন, এই বাংলাদেশের (তখনকার পূর্ব পাকিস্তান বা পূর্ব বাংলা) উঠতি বয়সের তরুণ যুবক এমনকি পৌঢ়দেরও পকেটে পকেটে ঘুরতো। একজন ভালো কলামিস্ট হতে গেলে অনেক বই পড়তে হয়, অনেক কিছু জাানতে হয়। পলিটিক্যাল কমেন্টেটর ওয়াল্টার লিপ্ম্যান, ফরিদ জাকারিয়া, ডেভিড ফ্রন্ট, কুলদ্বীপ নায়ার, খুশবন্তসিংহ, ইন্দোর মালহোত্রা, নেহাল সিং, শাশী থারুর, জেড এ সুলেরী, মুশাহিদ হোসেন প্রমুখের লেখা পড়ে এটুকু বুঝতে পেরেছি যে, অনেক পড়তে হবে। অনেক জানতে হবে। আর পড়া এবং জানা হলে সেটি সহজ ভাষায় জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে।

মওদুদ ভাইয়ের যে বইটি আমি প্রথম পড়ি সেটি হলো, Bangladesh Constitutional Quest for Autonomy ১৯৫০-১৯৭১. এখন এটির বাংলাও বেরিয়েছে। আমি অবিভক্ত পাকিস্তানের রাজনীতির ওপর ‘দৈনিক ইনকিলাবে’ কয়েক শত কলাম লিখেছি। সেই সব লেখার উপাদান প্রধানত: সংগ্রহ করেছি মওদুদ ভাইয়ের এই বই থেকে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের শাসনামল সম্পর্কেও অসংখ্য লেখা লিখেছি। সেগুলির উপাদান সংগ্রহ করেছি আরেকটি বিপুল তথ্য সমৃদ্ধ গ্রন্থ থেকে। এই বইটির নাম The Era of Sheik Mujibur Rahman. অনেক লেখকই দেখি, তাদের বইয়ে Index, Appendix, Epilogue- এগুলো দেন না। কিন্তু মওদুদ ভাইয়ের বইয়ে এসব বিশদভাবে দেওয়া আছে। ফলে পাঠকের পক্ষে একটি বিষয়, একটি ঘটনা বা কোনো রেফারেন্স চট জলদি বের করে আনা সম্ভব।

মওদুদ ভাই যখন যে রাজনৈতিক দলেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁর রাজনৈতিক মতবাদ তাঁর লেখায় প্রভাব ফেলতে পারেনি। তাঁর লেখা সব সময়েই নির্মোহ হয়েছে। তাঁর রচিত গ্রন্থসমূহ হচ্ছে, ওপরে উল্লেখিত দুই গ্রন্থ ছাড়াও, (১) কারাগারে কেমন ছিলাম (২) চলমান ইতিহাস (১৯৮৩-১৯৯০) (৩) Democracy and the Challenge of Development A Study of Military Interventions in Bangladesh (৪) সংসদে যা বলেছি (৫) Bangladesh: A Study of Democratic Regimes (৬) বাংলাদেশে গণতন্ত্র (১৯৯১-২০০৬) (৭) দক্ষিণ এশিয়া উন্নয়নে সংকট: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত। ইংরেজি বইগুলির বাংলা অনুবাদ বেরিয়েছে। আবার বাংলা বইগুলির ইংরেজি অনুবাদ বেরিয়েছে। বাংলাদেশের শীর্ষ রাজনীতিকদের মধ্যে আমি আর কাউকে দেখি না, যিনি রাজনীতি এবং ওকালতির সাথে এতগুলো বই লিখেছেন। তাই বলছি, তিনি শুধুমাত্র একজন পলিটিশিয়ান ছিলেন না, ছিলেন একজন স্কলারও।

তিন
বলছিলাম তাঁর হৃদয়বৃত্তির কথা। আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, তখন সংগঠন করার সুবাদে একজন বড় ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়। তার নাম জাকিউদ্দিন আহমেদ। সংগঠনে তিনি জাকি ভাই নামে পরিচিত ছিলেন। জাকি ভাই ছিলেন একজন অন্তর্মুখী নীরব কর্মী। কোনো দিন তাঁকে সভা-সমিতিতে বক্তৃতা করতে দেখিনি। জাকি ভাইয়ের সূত্র ধরে আরেকজন কর্মী ভাইয়ের সাথে পরিচয় হলো। নাম মওদুদ আহমেদ। জাকি ভাই ইতিহাসের ছাত্র। মওদুদ ভাই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের, আর আমি অর্থনীতির। আমাদের সংগঠনের নাম ছিল ‘পাকিস্তান ছাত্র শক্তি’। ফরমান উল্লাহ খান ছিলেন ঐ সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা। কয়েকদিন পরেই লক্ষ্য করলাম, আমাদের কর্মীদের মধ্যে যে দুইজন কর্মীর নাম একটি জোড়া নাম হিসাবে সকলের মাঝে উচ্চারিত হচ্ছে সেটি হলো জাকি-মওদুদ। অর্থাৎ জাকি উদ্দিনের জাকি এবং মওদুদ আহমেদের মওদুদ। আমি যে বছর ভার্সিটিতে ঢুকি সেই বছর ওরা এম এ পরীক্ষা দিয়েছেন, অথবা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রিয় পাঠক, এসব কয়েক দশক আগের কথা। ডায়েরি মেইনটেইন করিনি। সব স্মৃতি থেকে লিখছি। তাই মাস বা বছরের সময়ে যদি কিছুটা হের ফের হয় তাহলে ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন, আশা করি। জাকি-মওদুদ জুটির সাথে কিছুদিন পর যুক্ত হন আরেক বন্ধু। তার নাম মোশাররফ হোসেন। তখন বলা হতো জাকি-মওদুদ-মোশাররফ। আমার যতদূর মনে পড়ে, ১৯৬৬ সালে মওদুদ ভাই লিঙ্কনস ইনে ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য লন্ডন চলে যান। তখন জাকি-মওদুদ জুটিতে সাময়িকভাবে চ্ছেদ পড়ে। তখন নতুন করে চালু হয় জাকি-মোশাররফ জুটি।

বিশ্ববিদ্যালয় পার হওয়ার পর জাকি ভাই ও মোশাররফ ভাই যৌথভাবে ব্যবসায়ে যুক্ত হন। এদেশে জনশক্তি রপ্তানিতে জাকি-মোশাররফ জুটি ছিলেন পথিকৃত। তাদের জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান বে-ইস্টার্ন এই ব্যবসার অগ্রপথিক। মোশাররফ ভাই ব্যবসায়ের সাথে রাজনীতিতেও জড়িয়ে পড়েন। বিএনপির টিকেটে মোশাররফ ভাই তিনবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৭৫ বছর বয়সে মোশাররফ ভাইয়ের মৃত্যু পর্যন্ত জাকি-মোশাররফ যুগলবন্দী ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মওদুদ ভাই ব্যারিস্টার হয়ে লন্ডনে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে আত্মনিয়োগ করেন। এর আগে মওদুদ ভাই শেখ মুজিবের আইন উপদেষ্টা হিসাবে রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব আহুত গোল টেবিল বৈঠকে যোগদান করেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় মওদুদ আহমদ বঙ্গবন্ধু মুজিবের লিগ্যাল এইড্ প্যানেলের সদস্য ছিলেন। আপন আপন ক্ষেত্রে ব্যস্ততা সত্ত্বেও জাকি, মওদুদ, মোশাররফ ট্রয়ের বন্ধুত্ব অটুট ছিল।

শেষ করার আগে রাজনীতি নিয়ে একটি কথা। আমি বলেছি যে, আমরা সকলেই পাকিস্তান ছাত্র শক্তির কর্মী ছিলাম। অবিভক্ত বাংলা মুসলিম লীগের জেনারেল সেক্রেটারি, স্বাধীন অখন্ড বৃহত্তর বাংলার আপোসহীন প্রবক্তা মরহুম আবুল হাশিম ছিলেন আমাদের ফিলোসফার এন্ড গাইড। তাঁর গ্রন্থ Creed of Islam ছিল আমাদের আদর্শ। ছাত্র শক্তির পর যুবশক্তি। তারপর তো প্রয়োজন একটি রাজনৈতিক দল বা প্ল্যাটফরমের। আমাদের ছাত্র এবং সাংস্কৃতিক ফ্রন্টে ছিল এক ঝাঁক প্রতিভা। ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান, ড. মিজানুর রহমান শেলী, অধ্যাপক আবুল কাসেম, অধ্যাপক শাহেদ আলী, রফিকুল্লাহ চৌধুরী, আনসার আলী, মসিহ্উল ইসলাম, নাট্যকার আসকার ইবনে শাইখ, অধ্যাপক আব্দুল গফুর সহ অসংখ্য ট্যালেন্টের গ্যালাক্সী। কিন্তু রাজনৈতিক প্ল্যাটফরমের অভাবে একেক জন একেক দিকে ছিটকে পড়েন।

ছাত্র শক্তির জাকি-মওদুদ-মোশাররফ ছিলেন এক বৃন্তে তিনটি ফুল। মওদুদ ও মোশাররফ- দুটি ফুল ঝরে গেছে। রয়ে গেছে একটি ফুল, জাকি উদ্দিন আহমদ। হয়তো তিনি দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বলছেন,
স্মৃতি ভারে আমি পড়ে আছি
ভারমুক্ত ওরা এখানে নাই।
Email: journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Rony Farazi ২৩ মার্চ, ২০২১, ৭:৩১ এএম says : 0
জাতীয়তাবাদের পরিবার থেকে আরও একটি সূর্য ঝরে পরল।আমরা তার বিদেহি আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।আমিন।
Total Reply(0)
Mahmud Hussain ২৩ মার্চ, ২০২১, ৭:৩২ এএম says : 0
Very good writing. Thx
Total Reply(0)
Mahfuzur Rahman ২৩ মার্চ, ২০২১, ৭:৩৩ এএম says : 0
বাগেরহাট জেলা রামপাল থানার বি এন পির পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং উনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। সেই সাথে মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট দোয়া করি উনাকে যেনো জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন।
Total Reply(0)
Md Amin ২৩ মার্চ, ২০২১, ৭:৩৩ এএম says : 0
আমি আমার প্রিয় নেতার রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। দোয়া করি মহান আল্লাহ পাক উনাকে যেন জান্নাত বাসি করেন। আমিন
Total Reply(0)
Bikash Mozumder ২৩ মার্চ, ২০২১, ৭:৩৪ এএম says : 0
নোয়াখালীর অন্যতম একটি নক্ষত্রের পতন, ওপারে ভালো থাকবেন স্যার
Total Reply(0)
Jakir Hossain ২৩ মার্চ, ২০২১, ৭:৩৪ এএম says : 0
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ একজন খ্যাতিমান আইনজীবী, আইন প্রণেতা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ হিসেবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর ইন্তিকালে জাতি একজন বিদগ্ধ রাজনীতিবিদকে হারাল।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন