শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ইকবাল মাহমুদের দায়মুক্তির পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশ

ব্যাখ্যা দিতে হবে দুদককে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান পদ থেকে বিদায় নেয়া ইকবাল মাহমুদ অবসরে যাওয়ার আগের পাঁচ মাসে অনুসন্ধান থেকে কতজনকে ‘দায়মুক্তি’ দিয়েছেন, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশ পেয়েছে। গতকাল সোমবার এ তথ্য জানান বেঞ্চটির ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি বলেন, বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ডিভিশন বেঞ্চের স্বাক্ষরিত ১১ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ পেয়েছে। রায়ে বলা হয়, ‘দায়মুক্তি’ দিয়ে থাকলে কেন তা দেয়া হয়েছে, তাদের নাম, ঠিকানাসহ তালিকা আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে দুদককে দিতে হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আদেশের বিষয়টি অবগত হয়েছি। আমরা (দুদক) নির্ধারিত দিনের আগেই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করব।
প্রসঙ্গত: দুদকে ‘অনুসন্ধান-বাণিজ্য’ শিরোনামে দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর এর আগে গত ১৬ মার্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
ইকবাল মাহমুদ ২০১৬ সালের ১০ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন শেষে গত ৯ মার্চ তিনি বিদায় নেন। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
দুদকে ‘অনুসন্ধান-বাণিজ্য’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদায়ের আগে ‘দুর্নীতির বহু রাঘব বোয়ালকে ছেড়ে দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তাদের দায়মুক্তি আড়াল করতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন কিছু নিরীহ ও দুর্বল ব্যক্তিকে। সব মিলিয়ে শেষ ৫ মাসে তিনি ২ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (দায়মুক্তি) দেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইকবাল মাহমুদ বিদায় নেয়ার আগে স্বীয় কৃতকর্মের অনেক দালিলিক প্রমাণই যথাসম্ভব ‘নিশ্চিহ্ন’ করে যান। এর পরও এ প্রতিবেদকের হস্তগত হয় বেশকিছু নথি। সে অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই শতাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগগুলো সত্যিকারার্থে অনুসন্ধান হয়নি। হয়েছে অনুসন্ধান-বাণিজ্য। কথিত ‘নথিভুক্তি’ কিংবা ‘অনুসন্ধান পরিসমাপ্তি’র নেপথ্যে রয়েছে কোটি কোটি টাকার লেনদেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন