ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে সফরের বিরোধিতা করে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করার পর ঠাকুরগাঁর এক কলেজছাত্রকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করার বিষয়টি সাধারন মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ বাদি হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা এবং গ্রেফতারের বিষয়টি বাড়াবাড়ি বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। সদর থানার এসআই গাফিব বাদি হয়ে দায়েরকৃত মামলায় কলেজছাত্রকে হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, দেশ ও মানুষের সম্মান এবং ভাবমর্যাদারক্ষার স্বার্থে বিদেশী অতিথিদের আগমন, অবস্থানকে নিরাপত্তা ও নির্বিঘœ রাখতে যে কোন ঝুকি নিরসনে সর্বোচ্চ সর্তকতা এবং পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করছে পুলিশ।
ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে রাষ্ঠ্রীয় সফরে আসছেন। কলেজছাত্র হুমায়ুন কবির ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধীতা করে যে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করেছেন তাতে বিশৃংখলা সৃষ্টি যাতে না হয় সে জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা আরো তদন্ত করে দেখছি বলে তিনি মন্তব্য করেন। গতকাল বিকেল সাড়ে তিনটায় মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে ব্যবসায়ী মো. মিলন বলেন, এটি খুবই অন্যায়। আমরা দেশের নাগরিক। ভারতে মুসলমানদের নিয়ে এবং আল-কুরআন নিয়ে যা হচ্ছে তাতে বাংলাদেশের কোন নাগরিক বিরোধীতা করতেই পারে। যিনি বিরোধীতা করবেন এটি তার অধিকার। অন্য একটি রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বিরোধীতা করলে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেফতার খুবই দুঃখজনক। এটি নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এই ঘটনায় বিভিন্ন মহলে বিস্ময় ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন