খুলনার বিপক্ষে ফলোঅনে পড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ঘরে দাঁড়িয়েছে সিলেট বিভাগ। মূলত জাকির হাসানের শতকের উপর ভর করে ইনিংস হার এড়িয়ে লিডও নিয়েছে তারা।
আজ বুধবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দিনশেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে। দুই ইনিংস মিলে খুলনার প্রথম ইনিংস থেকে এখন ৯ রান লিডে আছে সিলেট। সিলেটের হয়ে দুর্দান্ত ব্যাট করে জাকির হাসান অপরাজিত আছেন ১১৮ রানে। অমিত হাসান করেছেন ৬৬ রান। এর আগে খুলনার বোলিং তোপে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩৪ রান করে অল আউট হয় সিলেট। ফলো অনে পড়ে আবারও ব্যাট করতে নামে তারা। আর প্রথম ইনিংসে খুলনা করেছিলো ৩৭৫ রান।
আগের দিন মঙ্গলবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানে দিন শেষ করেছিলো সিলেট। সেখান থেকে এদিন আর মাত্র ৪ রান যোগ করে বাকি ২ উইকেট হারায় তারা। খুলনার হয়ে বাকি ২টি উইকেটই নেন মিনহাজ রহমান। এনামুল হক জুনিয়র আউট হন ৩০ রান করে। খুলনার হয়ে মাসুম খান টুটুলের পাশাপাশি মিনহাজ রহমানও ৪ উইকেট নেন।
২৪১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। দলের খাতায় ২৮ রান যোগ হতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট। ফলে তৃতীয় দিনেই ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখছিলো স্বাগতিক খুলনা। তবে এরপরই দলের হাল ধরেন অমিত হাসান ও জাকির হাসান। এই দুইজনের প্রতিরোধে বিপর্যয় কাটিয়ে দলের স্কোর বড় হতে থাকে। অমিত হাসানের আউটে এই জুটি ভাঙে। মঈনুল হাসান সোহেলের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অমিত। আউট হওয়ার আগে ৬৬ রান করেন তিনি। ১২৬ বলে ৯টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে এ রান করেন তিনি।
অমিত আউট হয়ে গেলেও অন্যপ্রান্ত আগলে রাখেন জাকির হাসান। অন্যপ্রান্তে এই সময়ে আরও ২ জন আউট হলেও লড়াই চালিয়ে যান জাকির হাসান। শেষ পর্যন্ত দলের ইনিংস পরাজয় এড়িয়ে দলকে লিড এনে দিনের খেলা শেষ করেন অপরাজিত থেকে। দিনের খেলা শেষে জাকির হাসানের ব্যাটের পাশে ১১৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ১৯৩ বলে ১৪টি বাউন্ডারি ছিলো তার ইনিংসে। ১৪ রানে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক অলক কপালি। খুলনার হয়ে পেস বোলার আব্দুল হালিম ৪০ রান খরচায় নেন ২ উইকেট। সমান ২টি উইকেট নেন স্পিনার মঈনুল ইসলাম সোহেলও। একটি উইকেট নেন মাসুম খান টুটুল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন