শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরছেন সিরাজগঞ্জের খামারিরা

প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সৈয়দ শামীম শিরাজী, সিরাজগঞ্জ থেকে

পবিত্র ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মত এ বছরেও বিপুল পরিমাণ ষাড় মোটা তাজাকরণ চলছে গো-চারণ ভূমি হিসেবে খ্যাত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে। সরকারি হিসেব অনুযায়ি ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে এবার সিরাজগঞ্জে প্রায় ১ লক্ষ ষাড় মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে শুধু শাহজাদপুরেই অন্তুত ৩০ হাজার ষাড় মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। ষাড় মোটা তাজাকরণে প্রতি বছরই স্টেরোয়েড হরমোনসহ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করা হলেও এ বছর খামারিদের এই প্রবণতা কমে এসেছে অনেকটাই। চলতি বছর খড়, বিভিন্ন প্রকারের ভুসি, ভাত, খৈল ও কিছু ভিটামিন খাইয়ে ষাড় মোটাতাজাকরণ করছে গো-খামারিরা। ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটার একটি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারাখানা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে স্থাপন করার পর এখানে গড়ে ওঠে শত শত গরুর খামার। এ সকল গো-খামারের প্রায় ৩ লক্ষাধিক গবাদি পশু দেশের মোট দুধ ও মাংসের চাহিদার সিংহভাগ পূরণ করছে। প্রতি বছরই ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে শাহজাদপুর উপজেলায় ব্যাপকভাবে ষাঁড় মোটাতাজাকরণ করা হয়। অন্যান্য বছর নিয়মিত খামারিদের পাশাপাশি কিছু মৌসুমি খামারি মানব স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর অবৈধ স্টেরোয়েড হরমোন ব্যবহার করে দ্রুত গরু মোটাতাজা করত। কিন্তু এই কাজে অনেকের লোকসান হওয়া, পাশাপাশি জনসচেতনতা ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের তৎপরতার কারণে চলতি বছরে এই প্রবণতা কমে এসেছে অনেকটাই। এ বছর প্রাকৃতিক উপায়ে ধানের খড়, সবুজ ঘাস, বিভিন্ন প্রকারের ভুসি, ভাত, খোল ও কিছু ভিটামিন খাইয়ে ষাঁড় মোটা-তাজাকরণ করছে প্রকৃত গো-খামারিরা। এই অঞ্চলে বিপুল পরিমাণে ষাঁড় মোটা-তাজাকরণ করা হলেও ঈদের আগে ভারতীয় গরু এই দেশের গরুর হাটগুলোতে আসায় কমে যায় দেশীয় গরুর চাহিদা। ফলে লোকসান গুনতে হয় গো-খামারিদের। এই বছরেও ষাঁড় মোটাতাজাকরণে সর্বস্ব বিনোয়োগ করা গো-খামারি ও মৌসুমি খামারিদের আশঙ্কা ভারতীয় গরু আসলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে তাদের। ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে ষাঁড় মোটা-তাজাকরণে অবৈধ হরমোন প্রয়োগ বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস সামাদ জানান, খামারিরা নিজেদের ও সমাজের মানুষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহার থেকে সরে এসেছে। সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অফিসার ইমান আলী জানান, প্রতিটি হাট-বাজারে আমাদের পক্ষ থেকে ভেটেনারী মেডিকেল টিম রয়েছে। হাটে ব্যবসায়ীরা যেন অসুস্থ পশু বিক্রি করতে না পারে এ জন্য আমাদের মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। প্রতিটি গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষসহ প্রতিটি পশুরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। হাটে আগত ক্রেতাদেরকে কোন গুজব না শোনার পরামর্শও দেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন