শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ইসকনের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ কোথায়

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২১, ১০:০২ এএম

নগরীর পাঁচলাইশ ঐতিহ্যবাহী সনাতনী হিন্দু প্রতিষ্ঠান প্রবর্তক সংঘের অভ্যন্তরে সংগঠিত তা-বের সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ইসকন এবং প্রবর্তক সংঘ একে অপরের বিরুদ্ধে সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর আর ফুটেজ গায়েবের অভিযোগ করছে।
অন্যদিকে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফুটেজ উদ্ধারে তারা কাজ করছেন। কারণ আলোচিত এই মামলার তদন্তে ঘটনার ফুটেজ বলে দিবে তা-বকারী কারা এবং এর শিকার হয়েছেন কারা।
প্রবর্তক সংঘের দাবি ইসকনকে মন্দিরের জন্য যে ১৮ গন্ডা জমি দেওয়া হয়েছে তার বাইরে গিয়ে তারা জমি দখল করে নানা স্থাপনা তৈরী করছে। যা তাদের সাথে চুক্তির বরখেলাপ।
এমন একটি স্থাপনা সরাতে গেলে গত ১৪ মার্চ ইসকন প্রবর্তক কর্মকর্তা, কর্মচারীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। তাদের হামলায় আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ ১২ জন আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে ১০ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার শিকার যারা তাদের অভিযোগ ইসকন বহিরাগতদের নিয়ে তাদের উপর হামলা করেছে। হামলার পর তারা সিসিটিভি ফুটেজ সরিয়ে নিয়েছে।
এই ঘটনায় প্রবর্তক সংঘ গত ১৬ মার্চ আদালতে ইসকনের বিরুদ্ধে হত্যাপ্রচেষ্টাসহ ফৌজদারি আইনে মামলা করে। অন্যদিকে একই ঘটনায় ইসকনের পক্ষ থেকে প্রবর্তক সংঘের কর্মকর্তাদের আসামি করে পাল্টা মামলা হয় আদালতে।
এই মামলায় অভিযোগ করা হয় প্রবর্তক সংঘের সাধারণ সম্পাদক বাবু তিনকড়ি চক্রবর্তীসহ আসামিরা ইসকন শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণায় অবস্থিত সিকিউরিটি অফিস ও পার্কিং এলাকায় হাতে লাঠি, লোহার রড, দা-হাতুড়ি ইত্যাদি অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রথমে সিসিটিভি ভাঙচুর করে।
আগেই প্রবর্তক সংঘের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়-১৪ মার্চ ইসকনের চিহ্নিত ছয় জন এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজন রড, হকিস্টিক, দা, হাতুরী ও অস্ত্রশস্ত্রসহ এগিয়ে এসে কাজে বাধা প্রদান করে হামলা চালিয়ে শ্রমিকদের তাড়িয়ে দেয়। তাদের হামলায় ১২ জন আহত হয়।
এ প্রসঙ্গে তিনকড়ি চক্রবর্তী বলেন, কারা হামলা করেছে তা সিসিটিভি ফুটেজে আছে। পুলিশের উচিত তা খুঁজে বের করে হামলাকারীদের সনাক্ত করা।
এামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবিরুল ইসলাম জানিয়েছেন ফুটেজসহ সব আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে।
হামলায় গুরুতর আহত ১২ জন প্রবর্তকের কর্মকর্তা কর্মচারীকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার দিন রাত ৯টায় পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে আদালতের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এরই প্রেক্ষিতে গত ১৬ মার্চ মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে সি আর মামলা নং-১৭০/২১ দায়ের করা হয়। মামলাটি এখন তদন্ত চলছে। তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন ইতোমধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলা হয়েছে। কিছু আলামতও সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রবর্তক সংঘের পক্ষ থেকে মামলায় ইসকনের সাত-আটজনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ১০-১৫জনকে অজ্ঞাতনামা হিসাবে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে প্রবর্তক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হত্যাপ্রচেষ্টাসহ বেশকিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামী ১৮ এপ্রিল আদালতে মামলার শুনানির দিন ধার্য আছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Jahangir alom ২৫ মার্চ, ২০২১, ৪:৩৭ পিএম says : 0
ইসকন সংগঠনটি উগ্র ধরনের সংগঠন। বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করে, সেটা ভাঙ্গার জন্য বার বার চেষ্টা করে এই সংগঠনটি। যেহেতু পার্শ্ববর্তী ভারতে উগ্র হিন্দুরা সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর নির্যাতন করছে, সেহেতু বাংলাদেশে সেই সাম্প্রদায়িকতার উল্টা রেশ আনার জন্য প্রয়োজন এ অঞ্চলে মুসলিমবিরোধী বিভিন্ন কাজে ইন্ধন দেয়া, যেন মুসলমানরা সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর ক্ষেপে যায়। এ কাজটি বিভিন্ন সময় রুটিনওয়ার্ক হিসেবে দিয়ে থাকে ইসকন।
Total Reply(0)
Khokon ২৫ মার্চ, ২০২১, ৪:৪২ পিএম says : 0
ইসকন অচিরেই নিষিদ্ধ করা হোক। অন্যথায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে।একটা উগ্রবাদী সংঘঠন কিভাবে দেশে থাকতে পারে?বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করে, সেটা ভাঙ্গার জন্য বার বার চেষ্টা করে এই সংগঠনটি।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন