ইনকিলাব ডেস্ক : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে জোড়া বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ২৪ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে। দেশটির গণস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, গত সোমবারের এ হামলায় হতাহতদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকরাও রয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, দূরনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র দিয়ে প্রথম বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। দ্বিতীয় হামলাটি ছিল আত্মঘাতী।
প্রথম বোমা বিস্ফোরণের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে জড়ো হলে ভিড়ের মধ্যে দ্বিতীয় বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বিবিসি’কে বলেন, নিহতদের মধ্যে সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল ও পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের দুইজন কর্মকর্তা রয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে দেশটির তালেবান জঙ্গিগোষ্ঠী প্রায়ই এ ধরণের হামলা চালিয়ে থাকে। প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, আফগানিস্তানের শত্রু, যারা নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে তারাই এ হামলা চালিয়েছে।
অপর খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর নওয়াজ শরীফের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ বলেছেন, প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ পাক-আফগান সীমানা দিয়ে আসা যাওয়া করে। যার কারণে দুই দেশেরই ২৬০০ কিলোমিটার সীমানা অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, তুরখাম বর্ডারে গত জুন মাস থেকে আসা যাওয়া শুরু হয়েছে। আফগানিস্তানের বিরোধিকার কারণে পাকিস্তান সীমান্তে ৩৭ মিটারের অভ্যন্তরীণ গেইট করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সারতাজ আজীজ বলেন, দু’দেশেরই সাংস্কৃতিক মিল থাকার কারণে সীমান্ত পারাপার স্বাভাবিক বিষয়। তবে এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিষয়টির প্রতিও জোর দেওয়া উচিত। বিবিসি, রয়টার্স, ডননিউজ উর্দু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন