শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

জিপি অ্যাকসেলেরেটরের দ্বিতীয় ব্যাচের যাত্রা শুরু

প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : এসডি এশিয়ার সহযোগিতায় প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা স্থানীয় প্রযুক্তি স্টার্টআপগুলোকে সহায়তা করতে কাজ করছে জিপি (গ্রামীণফোন) অ্যাকসেলেরেটর। গতকাল (মঙ্গলবার) যাত্রা শুরু করেছে জিপি অ্যাকসেলেরেটরের দ্বিতীয় ব্যাচ। এই কর্মসূচিতে এসব উদ্যোক্তাদের অত্যন্ত কার্যকরী ও ফলপ্রæসূ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ব্যবসা শুরু করার জন্য আপগুলোকে ১১ লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেয়ার পাশাপাশি, স্টার্টআপগুলো জিপি হাউজের ভেতরে কাজ করার সুযোগ পায়। জিপি অ্যাকসেলেরেটর স্টার্টআপগুলোর ব্যবসা বিস্তৃতির জন্য এ শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের যোগাযোগের সুযোগ করে দেয়। নির্দিষ্ট সময়ে দলভিত্তিক এ কর্মসূচি, তরুণ উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক মডেলকে আরও কার্যকরী করে তোলা, বিনিয়োগে সমর্থ এবং ব্যবসাকে নতুন মাত্রা দেয়ারও সুযোগ করে দেয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম উপস্থিতিতে দ্বিতীয় ব্যাচের যাত্রা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে তারানা হালিম বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে এবং এদেশের তরুণদের প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ দিতে পারে, যা তরুণদের জঙ্গীবাদের প্রভাবমুক্ত থাকতে সাহায্য করবে। সরকার তরুণ প্রজন্মকে সহায়তা দিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে এবং গ্রামীণফোনে মত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ভালো লাগছে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, গ্রামীণফোনের মত প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের চাহিদা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখে, এই জ্ঞান জিপি একসেলারেটর এর তরুণ উদ্যোগতাদের গ্রাহক বান্ধব সেবা তৈরিতে খুবই সহায়ক হবে।
নতুন ব্যাচকে স্বাগত জানিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি বলেন, জিপি অ্যাকসেলেরেটরের এ স্টার্টআপগুলো আমাদের প্রতিদিনই মনে করিয়ে দেয় গতি, তৎপরতা ও সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মনোনিবেশ করার দক্ষতাই আসলে সফলতার দিকে নিয়ে যায়। গ্রামীণফোন বাংলাদেশ সরকার এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে সাথে নিয়ে বিশ্বের স্টার্টআপ মানচিত্রে বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবেতুলে ধরার ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
গ্রামীণফোনের হেড অফ ট্র্যান্সফরমেশন কাজী মাহবুব হাসান বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ তৈরির মিশনে নেমেছি আমরা। সব সহযোগীদের সাথে কাজ করার মাধ্যমেই জিপি অ্যাকসেলেরেটর এই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে। অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় ব্যাচের শীর্ষ পাঁচ স্টার্টআপগুলোকে জিপি অ্যাকসেলেরটের এ পর্যায়ে পৌঁছাতে হয়েছে। ৫শ’টিরও বেশি আবেদনপত্র থেকে শীর্ষ পাঁচ নির্বাচন করা নির্বাচকদের জন্যও অনেক কঠিন ছিলো। এসডি এশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোস্তাফিজুর আর খান, আমাদের এই কর্মসূচীতে যোগ দেয়া দলগুলো চার মাস পর আরো বিনিয়োগ উপযোগী হবে, যা হয়তো তারা নিজেরা চেষ্টা করলে এক বছর লাগতো। চারটি নির্বাচিত স্টার্টআপকে দ্রæত অগ্রসর হতে শেখানো এবং আরো প্রতিশ্রæতিশীল ব্যবসার সাথে একটি শিক্ষামূলক পরিবেশে কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে, তাছাড়া তারা পাচ্ছে আমাদের সহায়তা যা এদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে বিরল। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোন ও এসডি এশিয়ার সিনিয়র সদস্য, বিভিন্ন স্টার্টআপ এবং বিনিয়োগকারীরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন