বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বাজেটে দেশীয় শিল্পকে গুরুত্ব দিতে চায় এনবিআর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০২১, ১২:০২ এএম

বাজেটে দেশীয় অর্থনীতি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে স্থানীয় শিল্পকে গুরুত্ব দিতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কোন কোন খাতে সহায়তা দিলে স্থানীয় উৎপাদন বাড়বে এবং পরনির্ভরশীলতা কমে আসবে - সে বিষয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে গতকাল প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় শিল্পকে উৎপাদনে সহায়তা দিতে চাই। কোন জায়গায় সহায়তা দিলে দেশীয় অর্থনীতি গতিশীল হবে এবং ভিন্ন ভিন্ন পণ্য উৎপাদন যাতে বাড়ে, সেটি দেখছি। এ সময় তিনি রাজস্ব আদায় বাড়াতে এনবিআরের নেয়া কিছু পদক্ষেপও তুলে ধরেন। বিশেষত করযোগ্য আয় রয়েছে। কিন্তু করের আওতার বাইরে রয়েছেন- এমন ব্যক্তিদের করের আওতায় আনতে অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এনবিআর সংযুক্ত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ইআরএফ সভাপতি শারমিন রিনভী রাজস্ব আদায় বাড়ানো ও বর্তমান পরিস্থিতিতে করদাতাদের সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন। ব্যক্তি করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেন তিনি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার প্রেক্ষিতে ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এনবিআরকে প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দেন। বিশেষত ভবিষ্যতে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রত্যাহার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রপ্তানি বাণিজ্যে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিতে (পিটিএ) যেতে হবে। এজন্য সম্ভাব্য শুল্ক ছাড়ের লক্ষ্যে এনবিআরকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
এছাড়া বাজেট অধিবেশন বিকালের পরিবর্তে সকালে শুরু করা, কর আদায়ে সংস্কার কার্যক্রমকে গতিশীল করা, বিনিয়োগ আকর্ষণে কর সংক্রান্ত জটিলতা কমানো, পাবলিক-প্রাইভেট কর কমিটি গঠন করা, প্রতি তিন মাস অন্তর রাজস্ব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বিষয়ে পর্যালোচনা সভা করা, সরকারের রাজস্ব সংক্রান্ত কোনো ছাড় যাদের উদ্দেশ্যে দেয়া হয়, তারা ঐ সুবিধার পাচ্ছে কিনা, তা পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নেয়া, রাজস্ব সংক্রান্ত অন্যান্য সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলছে, তা বিশ্লেষণের জন্য একটি আলাদা বিভাগ গঠন করার প্রস্তাব দেন ইআরএফ সদস্যরা। এ ছাড়া কালো টাকা বিনিয়োগের বিদ্যমান নীতিমালা বৈধভাবে কর প্রদানকারীদের নিরুৎসাহী করছে এবং অবৈধ অর্থ আয়কে উৎসাহিত করছে উল্লেখ করে, কেবল বৈধভাবে উপার্জিত অপ্রদর্শিত আয়কে নির্ধারত কর প্রদান ও জরিমানা সাপেক্ষে বৈধ করতে আইনে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দেয়া হয়।
আলোচনায় ইআরএফ-এর কার্যনির্বাহী পরিষদসহ সংগঠনের জ্যৈষ্ঠ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন