পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত ২০ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তার দুইদিন আগে তিনি চীনে তৈরি ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছিলেন। এ সময় স্বভাবতই তাঁর কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা। অথচ তা না করে বাসভবনে নিজের মিডিয়া দলের সাথে সশরীরে বৈঠক করতে দেখা গেছে তাঁকে। এ নিয়ে সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিরোধী দলের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
পাকিস্তানের দৈনিক ডন জানায়, সেনেটর শিবলি ফারাজ এবং ফয়সাল জাভেদ নিজেদের টুইটার একাউন্টে সোমবারের ওই বৈঠকের ছবি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে ইমরান খানের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠে।
বিরোধীদলের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশে এখন করোনাভাইরাস মহামারীর তৃতীয় ঢেউ চলছে। আর খোদ প্রধানমন্ত্রীই কিনা এই রোগের বিস্তার রোধে জারি করা দিকনির্দেশনা (এসওপিএস) লঙ্ঘন করছেন।
বিরোধীদল থেকে অস্স্থু ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
কোভিড-১৯ ‘পজিটিভ’ হওয়ার মাত্র চারদিন পর সশরীরে বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রীর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং এনসিওসি চেয়ারম্যান আসাদ উমর বলেন, এসওপিএস এ শুধু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রেখেই ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। তবে কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় এ ধরনের বৈঠকে যোগ না দেওয়াই বেশি ভালো বলেও তিনি স্বীকার করেছেন।
সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত ইউসুফ বেগ মির্জা বলেন, ‘‘আমরা কেউ কাউকে স্পর্শ করিনি এবং আমরা সবাই মাস্ক পরে ছিলাম। আমরা কিছু খাইনি বা পান করিনি এবং ৪৫ মিনিটের ওই বৈঠকের পুরোটা সময় আমরা প্রধানমন্ত্রীর থেকে প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রেখে ছিলাম।”
পবিত্র রমজান মাসে জনগণের জন্য কী কী ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়ার জন্যই মূলত ওই বৈঠক ডাকা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। সূত্র : ডন
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন