ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে সফরকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে পাঁচ জনের মৃত্যু ও শতাধিক আহতের ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। চট্টগ্রামের হাটহাজারী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার যে ঘটনা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত ও অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে মনে করে সংগঠনটি।
গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং চট্টগ্রামে মাদরাসা ছাত্রদের হাতে ভ‚মি অফিস, রেল কার্যালয় পুলিশ ফাঁড়িসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলার পাশাপাশি জাতির জনকের ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বলপ্রয়োগের ঘটনাও ছিল অপ্রত্যাশিত। চট্টগ্রামে সংঘর্ষের মধ্যে তিন মাদরাসা শিক্ষার্থীসহ চার জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের হামলা করতে দেখা গেছে। এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলায় একাধিক সংবাদকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনের বিরোধিতা করে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন মাদরাসাভিত্তিক হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মী ও সমর্থকরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো বলপ্রয়োগকেই এক্ষেত্রে একমাত্র পদক্ষেপ হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রতিবেশি দেশের প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভকারীদের জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর এবং প্রশাসনের অনমনীয় কর্মকান্ডে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ভ‚ত পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো বিক্ষোভকারীদের অনিয়মতান্ত্রিক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে আগেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এ পরিস্থিতি এড়ানো যেতো। ভবিষ্যতে এ ধরনের সহিংসতা পরিহারে সকলপক্ষ দায়িত্বশীল ভ‚মিকা পালন করবে বলে আসক প্রত্যাশা করে। একইসঙ্গে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা নিরপেক্ষ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িবি জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন