স্পোর্টস রিপোর্টার : কক্সবাজারে যখন মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালের গোড়াপত্তন হয়েছিল, তখন থেকেই একটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে আসছিল আয়োজকরা ‘একত্বের বন্ধন’। সেই বন্ধন ফাইনালের মঞ্চে এসে প্রতিদ্ব›িদ্বতার কাছে হেরে যাবে? অবশ্যই না। তবে প্রীতি টুর্নামেন্ট হলেও জয়ের সুপ্ত বাসনা কার না থাকে! সেই বাসনা থেকেই আজকের ফাইনালের দুই প্রতিপক্ষই গতকাল সারলো ‘কঠোর’ অনুশীলন। দুপুর দুইটায় সাবেক তারকাদের হাট বসবে মিরপুরের ২২ গজে। তার আগে একাডেমি মাঠে অনুশীলন সেরেছে দুই ফাইনালিস্ট এক্সপো অলস্টার্স মাস্টার্স এবং জেমকন খুলনা মাস্টার্স ক্রিকেটাররা। ঠিক যেন এক যুগ আগে জাতীয় দলের কোন ক্যাম্প। পায়ে প্যাড লাগানো থেকে শুরু করে রান-আপ, নেটে ব্যাটিং কিংবা বোলিং, সতীর্থ অথবা মেন্টরদের সঙ্গে পরামর্শের যে চিত্র, তাতে প্রতিটি ক্রিকেটারই ভেসে গেছেন স্মৃতির ভেলায়। অনেকে অনেকদিন পর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ক্রিকেটার হয়ে ফেরার খুশিতে আত্মহারা।
এক্সপো অলস্টার্সের অধিনায়কত্ব করবেন জাতীয় দলের সাবেক পেসার হাসিবুল হোসেন শান্ত আর জেমকন খুলনার দায়িত্বে আছেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। ফাইনাল নিয়ে ভিন্নধর্মী চিন্তা করছেন দুই দলের অধিনায়ক। একজন ফাইনাল ম্যাচটিকে গুরুত্বসহকারে নিচ্ছেন। অন্যজনের কাছে তা নিছকই মিলনমেলা! তবে একটি জায়গায় সুর মিলেছে দু’জনেরই। এমন আয়োজন প্রতিবছর করার অভিপ্রায়ও ব্যক্ত করেছেন বাশার, শান্তরা।
সাবেক ক্রিকেটাররা শুধু নিজেদের মধ্যে খেলা আয়োজনের মধ্য দিয়েই মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখছেন না। তারা উদ্যোগ নিয়েছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিশেষ অবদানের জন্য কয়েকজন ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা জানানোর। এখন থেকে প্রতি বছরই মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল শেষে সম্মাননা জানানো হবে দেশের ক্রিকেটের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখা বিশেষ ব্যক্তিদের। ২০১৬ মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালের প্রথম আসরে বিশেষ সম্মাননার জন্য বাছাই করা হয়েছে কয়েকজন কোচ, সংগঠক এবং দেশের ক্রীড়াঙ্গনে প্রথিতযশা সাংবাদিককে। ফাইনাল শেষে মনোনীতদের বিশেষ সম্মাননা জানাবেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, এমপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন