শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

দেশকে অশান্ত করার দায়-দায়িত্ব সরকারের

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

দেশকে অশান্ত ও অস্থিতিশীল করে তোলার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে বর্তমান আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল ও ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানুষের কন্ঠরোধ করতে দেশের মানুষের ওপর নির্বিচারে হামলা ও জীবন কেড়ে নিয়ে জনগণের প্রতি প্রতিশোধ নিচ্ছে। জনগণের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে দিশেহারা হয়ে মানুষ হত্যার মতো হঠকারী সিন্ধান্ত নিয়ে সরকার পুরো দেশকে অশান্ত ও অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এর দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সরকারকেই বহন করতে হবে।

গতকাল রোববার দেশব্যাপী গড়ে ওঠা আন্দোলনে অসংখ্য মানুষকে গুলিবিদ্ধ ও আহত করা, গ্রেফতার এবং নিষ্ঠুর দমন-নিপীড়ণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত কয়েকদিন বিশেষ করে মহান স্বাধীনতা দিবস থেকে শুরু করে গত দুই দিনে ঢাকা, চট্রগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়ীয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুলি, তান্ডবের মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এই নৃশংসতা ও নির্মমতার বিরুদ্ধে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বিক্ষোভরত জনতার ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণে মধুপুরের পীর আবদুল হামিদসহ অসংখ্য মানুষ গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকার সাইনবোর্ডসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে গুলি ও সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। ঢাকার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় বিএনপির নেত্রী নিপুন রায় চৌধুরীকে। এছাড়া ঠাকুরগাঁও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুরুল হক নুরু, খুলনার যুবদল নেতা কামরুজ্জামান টুকসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। চান্দগাঁও থানা যুবদলের আহবায়ক গোলজার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাজিদ হাসান রনি এবং চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল নেতা মো. শহীদুজ্জামান ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করার পরিবর্তে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দিয়ে এবং ক্ষমতাসীন দলের মাস্তানদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে সরকার। বর্তমানে দেশের মানুষ এক জালিম সরকারের শাসনে বসবাস করছে। করোনাকালে জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তায় কাজ না করে মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে রক্ত ঝরাতে উন্মাদ হয়ে উঠেছে তারা। কিন্তু এদেশের সাহসী জনতা অতীতেও যেমন সকল স্বৈরাচারকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারকেও তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাস্তায় নেমে এসেছে। জনগণের আন্দোলনের গণজোয়ারে অবৈধ সরকারের মসনদ অতলে তলিয়ে যাবে।

তিনি মধুপুরের পীর আবদুল হামিদসহ অসংখ্য মানুষকে গুলিবিদ্ধকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করার দাবি জানান, নিপুন রায় চৌধুরীসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত নেতাকর্মীদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। এছাড়া নিরীহ মানুষ হত্যা, দমন-নিপীড়ণ এবং গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার হরণের প্রতিবাদে বিএনপি ঘোষিত আজকের দেশব্যাপী সকল মহানগরীতে এবং আগামীকাল মঙ্গলবার সকল জেলা সদরে বিক্ষোভ/মিছিল সফল করতে জনগণ এবং বিএনপি ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন