পবিত্র শবে বরাতের (সোমবার) রাতে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত স্বজনদের কবর জিয়ারত করতে মানুষের ঢল নামে। পুরাতন কবরস্থানের মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেখলেই পুলিশ তাদের পথ আটকে বাইরে থেকে মাস্ক কিনে আনতে বাধ্য করেছে। নো মাস্ক নো এন্ট্রি আজিমপুর কবরস্থানের অবস্থা এমনই ছিল। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আবালবৃদ্ধবনিতারা স্বজনের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত ও দোয়া-দরুদ পড়েন ওই রাতে। এরপর দুই হাত তুলে আল্লাহ তাআলার দরবারে কবরবাসী স্বজন ও নিজেদের জন্য দোয়া করেন তারা। কেউবা নীরবে ফেলেন চোখের জল। কবরস্থান এলাকায় আগতদের অধিকাংশই সাধ্য অনুসারে দরিদ্র ও অসহায় ভিক্ষুক ও দরিদ্র এবং মসজিদে দান-খয়রাত করেছেন।
রাত ১২টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আজিমপুর কবরস্থানে প্রবেশপথে সতর্ক প্রহরায় রয়েছে পুলিশ। পুরাতন কবরস্থানের মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেখলেই পুলিশ তাদের পথ আটকে বাইরে থেকে মাস্ক কিনে আনতে বাধ্য করেছে। অনেকে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কবরস্থানে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
আজিমপুর এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ আজগর আলী বলেন, সেই প্রাচীন আমল থেকে দেখে আসছি, শবে বরাতের রাতে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত। এক সময় হালুয়া রুটি বিলিবণ্টনের রেওয়াজ থাকলেও এখন তা নেই। তবে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বজনদের কবর জিয়ারত করতে বিকেল থেকে ফজর অবধি মানুষের ভীড় লেগেই থাকে। এ দিন মানুষ দুহাত ভরে দান-খয়রাত করে। দরিদ্র অসহায় মানুষগুলো ফজরের পর হাসি মুখে ঘরে ফিরে যায়। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের কারনে পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীরা মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন