ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একটি মাদরাসার এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপালসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা মাদরাসার প্রিন্সিপালসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার তাহফিজুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তাহফিজুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা আকরাম হোসেন (৩৭) ও তার ভাই সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহমান নবী (২৬)। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানার পশ্চিম শালকোণা গ্রামে।
আহত শিক্ষার্থী সাইফুর রহমান (১৭) বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানার উত্তর কদমতলা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির বলেন, সাইফুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থীর বাবা মঙ্গলবার রাতে মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছেলেকে মারধরের লিখিত অভিযোগ করে। এঘটনায় রাতেই প্রিন্সিপালসহ মাদরাসাটির আরেক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার সকালে দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীর বাবা খলিলুর রহমান বলেন, গত তিন বছর ধরে মাদ্রাসায় লেখা পড়া করছে সাইফুর। অনেক কষ্ট করে ভ্যান চালিয়ে তার লেখাপড়ার খরচ দিচ্ছি। পরিক্ষার ফরম প‚রণের কথা বলে কয়েক দিন আগে আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে স্যারকে দিয়েছে। কিন্তু ফরম প‚রণ করে নাই। গত রবিবার রাজধানীর টেকনিক্যালে আমার মেয়ের বাসা থেকে মাদ্রায় আসে আমার ছেলে। পরে সোমবার স্যারের কাছে ফরম ফ‚রণ না হওয়ার কারন জানতে চায়। এসময় তাকে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও তার ভাই আমার ছেলেকে ব্যাপক মারধর করে ঘুমের ওষুধ খাওয়াইয়া রাখে। পরে রাস্তার পাশে সাইফুরকে ফেলে গেলে একজন ভ্যানচালক উদ্ধার করে আমাকে ফোন দিয়ে জানায় এবং আমার শ্যালকের বাসায় নিয়ে যায় তাকে। পরে আমি রাতে থানায় অভিযোগ করি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন