শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দেশে প্রায় ১৪ হাজার দ্বৈত পাসপোর্টধারী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

বাংলাদেশসহ ২টি দেশের পাসপোর্ট নিয়েছেন- এমন ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার (১৩ হাজার ৯৩১ জন)। এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখার (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) পুলিশ সুপার। আদালতে উপস্থাপনের লক্ষ্যে গতকাল বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে এ তথ্য দাখিল করা হয়েছে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে পুলিশের দেয়া প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গত বছর ২১ ডিসেম্বর অর্থপাচার ও দুর্নীতির মাধ্যমে যারা বিদেশে বাড়ি নির্মাণ করেছেন অথবা কিনেছেন, সেসব বাংলাদেশীদের মধ্যে যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট আছে এবং যারা দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে-বিদেশে ঘন ঘন যাতায়াত করছেন, তাদের তালিকা চান হাইকোর্ট। এ পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেল দফতরে পুলিশের বিশেষ শাখা এ তালিকা দেয়।
এর আগে সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রাজনীতিবিদরা নন, বিদেশে বেশি অর্থপাচার করেন সরকারি চাকরিজীবীরা। গোপনে কানাডার টরেন্টোতে অবস্থিত বাংলাদেশিদের বিষয়ে খোঁজ নেয়া হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমার ধারণা ছিল রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে। কিন্তু আমার কাছে যে তথ্য এসেছে, যদিও এটি সামগ্রিক তথ্য নয়, সেটিতে আমি অবাক হয়েছি। সংখ্যার দিক থেকে আমাদের অনেক সরকারি কর্মচারীর বাড়িঘর সেখানে বেশি আছে এবং তাদের ছেলে-মেয়েরা সেখানে থাকে। মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে ২৮টি কেস এসেছে। এর মধ্যে রাজনীতিবিদ হলেন চারজন। এছাড়া কিছু আছেন তৈরি পোশাকশিল্পের ব্যবসায়ী। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করছি। পাচারে শুধু কানাডা নয়, মালয়েশিয়াতেও একই অবস্থা। তবে তথ্য পাওয়া খুব কঠিন। বিভিন্ন মিডিয়ায় যে তথ্য বের হয়, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, আসলে সংখ্যাটি তত নয়।
পাচারের দায় বিদেশি সরকারও এড়াতে পারে না উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, যেমন সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে টাকা রাখলেন, সেই তথ্য তারা আমাদের দেয় না। তারা ট্রান্সপারেন্সির কথা বলে। কিন্তু যদি বলি কার কার টাকা আছে, সেই তথ্য দাও, তখন তারা দেয় না। এটি একটি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড।
প্রকাশিত এই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গতবছর ২২ নভেম্বর আদালত অন্তর্বর্তীকালিন আদেশ দেন। একই সঙ্গে রুল জারি করেন। রুলে টাকা পাচারকারী সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Mallah Mahedi Atrai Naogaon ১ এপ্রিল, ২০২১, ১:০০ এএম says : 0
১০ হাজারে বরে আরো অনেক আছে।
Total Reply(0)
Md. Mofazzal Hossain ১ এপ্রিল, ২০২১, ১:০২ এএম says : 0
Very Bad news.
Total Reply(0)
সাইফুল ইসলাম ১ এপ্রিল, ২০২১, ১:০৩ এএম says : 0
দেশ এখন লুটেরাদের হাতে। যার যেভাবে ইচ্ছা খাচ্ছে....
Total Reply(0)
রফিকুল ইসলাম ১ এপ্রিল, ২০২১, ১:০৩ এএম says : 0
তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
Total Reply(0)
গোলাম মোস্তফা ১ এপ্রিল, ২০২১, ৯:৪১ এএম says : 0
এদের উপর কঠোর নজরদারি রাখা উচিত বলে আমি মনে করি
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন