মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৮ এএম

প্রশ্ন : এনিমেশন কার্টুন তৈরি করা ছবি অংকনের কাতারে পরবে কি । উল্লেখ্য কার্টুনে একেকটি চরিত্রে নিজের মনমতো বিভিন্ন আকৃতি দেয়া যায় । স্পষ্ট করে জানালে উপকৃত হবো?
উত্তর : আসলে ছবি বা চিত্রঅংকন গুনাহ এই জন্য যে, সৃষ্টিটা শুধু আল্লাহ তায়ালার অধিকার। তার সৃষ্টির মধ্যে বিশেষ করে মানুষ ও প্রাণীর চিত্র অংকন করা হাদীস শরীফে নিষিদ্ধ, এটা কেউ করবে না। এটা একধরণের খোদার ওপর খোদগীরি করা। নকল তৈরি করা। এর শাস্তিটাও হাদীসে বলা আছে যে, হাশরের দিন বলা হবে, তুমি মানুষ বা অন্য প্রাণী এঁকেছ তাদের প্রাণ দাও। তখন প্রাণ দিতে পারবে না এবং শাস্তি পাবে। গাছপালা প্রকৃতি, যাদের মানুষের মতো প্রাণ নেই সেসব ছবি আঁকা যায়। অনেক আলেমের মতে এইগুলো আঁকাও হারাম। তবে উলামায়ে কেরাম গাছপালা, প্রকৃতি আঁকা জায়েজ বলেছেন। এখানে কার্টুনের মধ্যে যদি কেউ করে, এটা না করা ভালো। করা গুনাহ। আর কার্টুনে তো মানুষের চেহারা বিকৃতি করা হয়। মানুষ যেমন, তেমন থাকে না। অন্যরকম করা হয়। মানুষের চেহারা তুলিতে বিকৃতি, পেন্সিলে বিকৃতি বা ডিজাটালাইজেশনের মাধ্যমে বিকৃতি, কম্পিউটারে এডিট করে বিকৃতি এবং মানুষের সরাসরি ফিজিক্যাল বিকৃতি করা সবগুলো ইসলামে নিষেধ। আল্লাহর রাসূল বলেছেন, চেহারা বিকৃতির দ্বারা মানুষের যে মর্যদা, তা হানী হয়। অমুসলিম বা শত্রুর চেহারাও বিকৃতি করা, কার্টুন করা উচিত না। কাজেই এনিমেশন কার্টুনের কাজ কেউ পেশা হিসাবে না নেন। আমরা যদি আল্লাহর চাহিদাটা বুঝতে পারি যে, কেন ছবি হারাম, তাহলে একদম অপারগ অবস্থা ছাড়া ছবি, কার্টুন আমরা এড়িয়ে চলবো। এটাই হলো ইসলামের দাবী।
প্রশ্ন : রুকু থেকে দাঁড়ানোর সময় সামিআল্লাহ হুলিমান হামিদা এবং রাব্বানা লাকাল হামদ দুইটাই পড়তে হবে কি না?
উত্তর : জি, দুটো পড়াই সুন্নাত। যেমন আল্লাহু আকবার ইমামও বলেন, মুসল্লীরাও বলেন। তেমনিভাবে সামিআল্লাহ হুলিমান হামিদা কথাটা মুসল্লী নিজেও বলবে, ইমামও রাব্বানা লাকাল হামদ বলবে। দুটোই ইমাম মুসল্লী উভয়েই বলবেন। এটাই সুন্নাত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন