বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিএনপি নেতা ড. মোশাররফ সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৬ এএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশররফ হোসেন ও তার স্ত্রী বিলকিস আখতার হোসেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি সস্ত্রীক রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ড. খন্দকার মোশারফের প্রেস সেক্রেটারি শাহ আক্তারুজ্জামান গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, হাসপাতালে এখনো তিনি অনেকটা সুস্থ আছেন। অক্সিজেন লেভেল এখনো ঠিক আছে। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। রিপোর্ট পেলে সার্বিক অবস্থা জানা যাবে।
বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস এ্সােসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর এক বিবৃতিতে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের করোনা পজিটিভের বিষয়টি জানানো হয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব মো. আব্দুস সালাম যৌথ বিবৃতিতে ড. খন্দকার মোশাররফের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি চরম মাত্রায় পৌঁছানোর এই পর্যায়ে বিএনপির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে স¤প্রতি মারা গেছেন। আরও কয়েক ডজন কেন্দ্রীয় নেতা করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সব কর্মসূচি স্থগিত করেছে বিএনপি। এরপর ৩১ মার্চ সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকে সব ধরনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকান্ডও স্থগিত করেছে দলটি।
‘ছেলেধরা’ গুজবে পিটিয়ে হত্যা মামলার বিচার শুরু
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় তাসলিমা বেগম ওরফে রেনুকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফাতিমা ইমরোজ এই আদেশ দেন। ২০১৯ সালের ২০ জুলাই বাড্ডায় স্কুল প্রাঙ্গণে ‘ছেলেধরা’ গুজবে তাসলিমা বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এই মামলায় ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই মামলায় আজ ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজন কারাগারে আছেন। তারা হলেন হৃদয় ইসলাম মোল্লা ওরফে ইব্রাহীম ওরফে নয়ন মোল্যা, সোহেল রানা ও মহিউদ্দিন। বাকি ১০ জন জামিনে আছেন। অভিযোগ গঠনের সময় আসামিরা নিজেদের নিরপরাধ দাবি করেন। আগামী ১ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত।
জামিনে থাকা ১০ আসামি হলেন রিয়া বেগম, আবুল কালাম, কামাল হোসেন, শাহিন, বাচ্চু মিয়া, শহিদুল ইসলাম, মুরাদ মিয়া, আসাদুল ইসলাম, বিল্লাল মোল্লা ও মো. রাজু। এই মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন রিয়া বেগম, হৃদয় ইসলামসহ তিনজন। তাদের জবানবন্দিতে উঠে আসে, আসামি রিয়া বেগম সেদিন ঘটনার উসকানি দিয়েছিলেন। হৃদয় ইসলাম মামলার প্রধান আসামি। তিনি স্কুলের পাশে সবজি বিক্রি করতেন। তিনিই তাসলিমাকে প্রথমে লাঠিপেটা করেন। আর জাফর প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে চুলের মুঠি ধরে টেনেহিঁচড়ে দেয়ালের সঙ্গে আঘাত করতে থাকেন।
২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাসলিমা তার চার বছরের মেয়েকে ভর্তি করানোর বিষয়ে খোঁজ নিতে যান। সেখানে উপস্থিত কয়েকজন নারী তাকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহ করেন। এই গুজব দ্রুত বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশ থেকে বিভিন্ন বয়সী কয়েক শ নারী-পুরুষ স্কুল প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েন। তাদের কবল থেকে রক্ষা করতে তাসলিমাকে স্কুলের দোতলায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে রাখা হয়। এর মধ্যে কয়েকজন বিদ্যালয়ের কলাপসিবল গেট ভেঙে দোতলায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে তাসলিমাকে টেনেহিঁচড়ে নিচে নামিয়ে পেটাতে শুরু করেন। প্রায় আধঘণ্টা নির্যাতনের পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তাসলিমা। ঘটনার পর তাসলিমার ভাগনে সৈয়দ নাসির উদ্দিন অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।
নিহত তাসলিমা ইডেন কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করেছিলেন। পরে তিনি সরকারি তিতুমীর কলেজে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর করেন। বিয়ের পর তিনি দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন