শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সুয়েজে জাহাজ আটকা : ২৫ ভারতীয় নাবিক গৃহবন্দি, কঠোর শাস্তির আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২১, ৩:১৬ পিএম

বিশ্ববাণিজ্যের অন্যতম প্রধান পথ সুয়েজ খাল অচল করে দেওয়া জাহাজ ‘এভার গিভেন’-এর ২৫ জনের মতো ভারতীয় নাবিকের জন্য অপেক্ষা করছে কঠোর শাস্তি। খবরে বলা হয়েছে, জাহাজের নাবিকদের গৃহবন্দি করা হয়েছে এবং তারা ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হতে পারেন।
জাহাজটি কেন আটকে গিয়েছিল, তা নিয়ে মিসর কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে। ওই বিশাল কার্গো জাহাজটি জাপানের মালিকানাধীন, পানামার পতাকাবাহী এবং তাইওয়ানের একটি কোম্পানি ‘এভারগ্রিন’-এর মাধ্যমে পরিচালিত হলেও জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ নাবিকদের সবাই ছিলেন ভারতীয় নাগরিক।
খবরে বলা হয়েছে, সুয়েজ খালের ওই দুর্ঘটনার পর ভারত সরকার তাদের সবার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আশ্বস্ত করেছে যে, ওই নাবিকদের সুরক্ষার জন্য তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। কিন্তু জাহাজের ক্যাপ্টেন বা অন্য নাবিকদের পরিচয় তারা এখনও প্রকাশ করেননি।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ওই ২৫ জন নাবিকের বেশির ভাগই ছিলেন দাক্ষিণাত্যের তেলেঙ্গানা, কেরালা ও তামিলনাডুর বাসিন্দা। ক্যাপ্টেন নিজেও দক্ষিণ ভারতীয়।
এখন ভারতের শিপিং ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত অনেকেই মনে করছেন, সুয়েজের ওই দুর্ঘটনার জেরে ভারতীয় নাবিকদের ফৌজদারি চার্জের মুখোমুখি হতে হবে। এরইমধ্যে ওই ২৫ জন নাবিককে সুয়েজে ‘গৃহবন্দি’ রাখা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের তদন্ত শেষ না-হওয়া পর্যন্ত তাদের দেশ ছাড়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়, সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের নিজস্ব কিছু আইনকানুন আছে, যা আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বা সমুদ্র আইনের চেয়েও অনেক বেশি কঠোর।
প্রসঙ্গত, ২৩ মার্চ এভার গিভেন যখন সুয়েজ খাল ধরে এগোচ্ছিল, তখন প্রবল ধূলিঝড় আর জোরালো বাতাসে জাহাজটির অভিমুখ বেঁকে যায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায় এবং সেটি খালকে আড়াআড়িভাবে আটকে দেয়। এর পরিণতিতে প্রায় ৩৫০ মালবাহী জাহাজ খালের দুদিকে আটকে পড়ে। বহু জাহাজকে কেপটাউন হয়ে পুরো আফ্রিকা ঘুরে ইউরোপের দিকে পাড়ি দিতে হয়।
দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার সাংবাদিক পি সুশীল রাও ওই জাহাজের ভারতীয় নাবিকদের নিয়ে খোঁজখবর রাখছেন প্রথম থেকেই। তিনি বলেন, আমি যতদূর জানতে পারছি জাহাজটির জাপানি মালিকদের সঙ্গে সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের এই মুহূর্তে আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।
সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হলে এই সঙ্কট হয়তো সহজেই মিটে যাবে এবং ভারতীয় নাবিকরা হয়তো কড়া শাস্তি এড়াতে পারবেন। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত হবে কি না, তা অনেকগুলো ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করছে।’
এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই মুম্বাইভিত্তিক ‘ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব সিফেয়ারার্স অব ইন্ডিয়া’ এভারগিভেন জাহাজের সব ভারতীয় নাবিকের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। সূত্র : দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন