শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

হেফাজতকর্মীদের জিম্মায় মাওলানা মামুনুল হক

নারায়ণগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২১, ৯:৩৫ পিএম | আপডেট : ৯:৫৪ পিএম, ৩ এপ্রিল, ২০২১

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে দ্বিতীয় স্ত্রী আমিনা তাইয়াবা (২৫) সহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় এক রিসোর্টে পাওয়ার পর তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে গেছে হেফাজতের কর্মীরা। আমিনা দ্বিতীয় স্ত্রী বলে জানিয়েছেন মামুনুল হক।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় ওই রিসোর্টে ব্যাপক ভাংচুর চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। এতে রিসোর্টের মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন সোনারগাঁওয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম, এসিল্যান্ড গোলাম মোস্তফা মুন্না, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টি আই মোশাররফ হোসেন, সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) তবিদুর রহমানসহ অর্ধশতাধিক সাংবাদিক। এক পর্যায়ে মাওলানা মামুনুল হককে পুলিশের কাছ থেকে বিক্ষুব্ধ হেফাজতকর্মীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে কেউ কেউ জানান।

এর আগে বিকেলে মামুনুল হককে দ্বিতীয় স্ত্রী আমিনা তাইয়াবা (২৫) সহ অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মামুনুল হক ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে। মামুনুল হককে সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর আগে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে নানা রকম অপবাদ দিয়ে লাঞ্ছিত করে।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি, পৌরসভা ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রবীনসহ স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতারা মামনুল হককে অবরুদ্ধ করার সময় উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার বিকেল ৩টায় সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর বন্ধ থাকায় তিনি রিসোর্টের ৫০১ নম্বর রুমে উঠেন দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে। এ খবরে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কিছু নেতাকর্মী বিকেল সাড়ে ৫টায় স্ত্রীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে। খবর পেয়ে সোনারগাঁও থানা পুলিশের একটি টিম রয়েল রিসোর্ট থেকে তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত নারীর নাম আমিনা তাইয়াবা (২৫)।

মামুনুল হক বলেন, আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁওয়ে বেড়াতে আসি। সোনারগাঁও জাদুঘরে গিয়ে জাদুঘর বন্ধ থাকা আমি বিকেল ৩টায় স্থানীয় সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এসে অবস্থান নেই। পরে এলাকার যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন আমার সাথে খারাপ আচরণ করে। তারা আমাদেরকে হেনস্তা করে একপর্যায়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন ও পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।

তিনি আরো বলেন, ইসলামের শরিয়ত মোতাবেক আমি দ্বিতীয় বিয়ে করি গত দুই বছর আগে। সে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। আমি আল্লাহর কসম কাটতাছি সে আমার স্ত্রী তার প্রমাণ আমি দেখাবো। আমি কোনো অপরাধ করি নাই। কোনো দুর্বলতা আমার নাই।

এদিকে খবর পেয়ে সোনারগাঁও উপজেলা প্রশাসনের ইউএনও মো: আতিকুল ইসলাম, এসিল্যান্ড গোলাম মোস্তফা মুন্না ও সোনারগাঁও থানা ওসি তদন্ত তবিদুর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ উপস্থিত হন।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান জানান, হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হক দু’টি বিয়ে করেছেন। তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে শনিবার সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এসেছিলেন। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে লাঞ্ছিত করেছেন। স্থানীয়দের সাথে ধস্তাধস্তিতে মামুনুল হকের পরনে থাকা জামাটিও ছিঁড়ে গেছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Tareq Sabur ৩ এপ্রিল, ২০২১, ১০:১৪ পিএম says : 3
মাওলানা মামুনুল হক তার পরিবার নিয়ে তার গনতানত্রিক অধিকার অনুযায়ী যেখানে ইচ্ছা একান্তে সময় কাটাতে যাবেন। এখানে ছাত্রলীগ, যুবলীগ বা আওয়ামিলীগের কোন অধিকার আছে তাকে প্রশ্ন করে হেনস্তা করার? এই বেয়াদপ গুলোর কঠিন শাস্তি চাই।
Total Reply(1)
Shamsul Alam ৩ এপ্রিল, ২০২১, ১১:২৬ পিএম says : 0
যারা এক জন আলেমকে এই ভাবে অপমান করেছে , তারা সবাই কোন পতিতালয়ের কনডম দূর্ঘটনায় জন্ম গহন করেছে এবং বাংলাদেশের একটি গজবের নাম ছাএলীগ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন