নতুন করে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সাধারণ মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এনিয়ে নানাজন নানা মত তুলে ধরেছেন। ফেসবুকে অনেকেই লকডাউন নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। আবার কেউ কেউ সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর ভাবে লকডাউন পালনের অনুরোধ জানিয়েছেন।
শনিবার (৩ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক সপ্তাহ লকাডাউন দেয়া হবে বলে জানান। অন্যদিকে, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনও বলেন, দুই-একদিনের মধ্যে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দেওয়ার জন্য সরকার চিন্তা করছে।
লকডাউন ঘোষণার এই খবর মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। পক্ষে-বিপক্ষে মতামত জানিয়ে পোস্ট করেন বহু সচেতন মানুষ।
লকডাউন ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় খন্দকার মমিন লিখেছেন, ‘‘বর্তমান অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে লকডাউন নিম্ন আয় তথা খেটে খাওয়া মানুষের জন্য প্রচন্ড দূর্ভোগ বয়ে আনবে। কিন্তু করোনার অবিশ্বাস্য উর্দ্ধগতিতে আসলে এটা ছাড়া কোনও উপায় ও নেই। এই অবস্থায় গতকাল এর মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা নেয়া টা সরকার অর্বাচীনতার পরিচয় দিয়েছে।’’
গাজী শরিফ মির্জা লিখেছেন, ‘‘সরকারের ইচ্ছা না থাকা থাকলেও বাধ্য হয়ে লকডাওন দিচ্ছে। তবে করোনা বাড়ার কারনে যে সব বদমাশগুলা দায়ী, যারা সরকারী বিধিনিষেধ, স্বাস্থবিধি না মেনে পার্টি, আমোদ ফুর্তি, ঘুরাঘুরি করছে, ওইগুলারে আইনের আওতায় আনা দরকার৷ আমরা যারা ব্যবসায়ী আমরা ই চরম ক্ষতিগ্রস্ত। চাকরিজীবীদের তো আর প্রব্লেম নাই।’’
লকডাউনের সমালোচনা করে মিজানুর আহমেদ লিখেছেন, ‘‘এক সপ্তাহের লকডাউনের কথা বলে ঈদ পযর্ন্ত পার করবে। এটায় রাজনৈতিক চালাকি। রাজনৈতিক নেতাদের আর সরকারি কর্মকর্তাদের তো আর টাকার কথা চিন্তা করতে হয় না কারন ওদের লকডাউন থাক আর যায় থাক মাস গেলে বেতন বোনাস ঠিকই পাবে। যত সমস্যা সাধারণ মানুষের।’
নাসির উদ্দিনের মন্তব্য, ‘‘সরকার লকডাউন যদি দেশের জনগনের জন্য দিয়েই থাকে তাহলে সবার আগে জনগণের জন্য ১সপ্তাহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম গরীবের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।’
কামাল ইসলাম পরামর্শ দিয়ে লিখেছেন, ‘‘শুধুমাত্র হাইওয়েগুলোতে লকডাউন দিলে হবে না, ঢাকা শহরের অলিগলি গুলো থেকে শুরু করে গ্রামের হাটবাজার চায়ের দোকান গুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং কঠোর নজরধারীর আওতায় আনতে হবে, প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মাঠে নামাতে হবে, তা না হলে এই লকডাউন ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর কোন ভূমিক রাখতে পারবে না।’’
জামাল হোসাইন মিয়াজী লিখেছেন, ‘‘যাহারা রাস্তার পাশে হকারি করে হেঁটে হেঁটে ফুল অথবা চা বিক্রি করে অথবা যারা রিকশা চালায় এবং যারা দিনমজুর তাদেরকে 7 দিনের খোরাকী দিয়ে তারপরে লকডাউন ঘোষণা করা উচিত ছিল সরকারের।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন