শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সুয়েজ খালের বিকল্প করতে চায় যুক্তরাজ্য, উদ্বিগ্ন মিসর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০২ এএম

তৈরি হবে সুয়েজ খালের বিকল্প রুট। ইসরাইল-মিসর সীমান্ত দিয়ে নতুন একটি খাল তৈরির সম্ভাবনা নিয়ে জাতিসংঘের বাণিজ্যিক-রুট সম্পর্কিত কমিটিতে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিকল্প নৌপথ তৈরির প্রকল্পে প্রধান ভ‚মিকা পালনে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য। তবে এতে উদ্বিগ্ন মিসর। বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ পণ্য পরিবহন করা হয় সুয়েজ খাল দিয়ে। এ নৌপথটিকে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে ইউরোপের বাণিজ্যের ‘লাইফলাইন’ বলা হয়। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ পথটি ২৩ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত আটকে থাকায় বড়সড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে নৌবাণিজ্য। যে ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার বা তারও বেশি। এ ছাড়া তেলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ব অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়েছে। দীর্ঘ সাত দিন পর এভার গিভেন জাহাজটি উদ্ধারের পর নৌবাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথটি পুনরায় চালু হয়। এরপরই শুরু হয় লাভ-লোকসানের পাহাড়সম হিসাব-নিকাশ। সুয়েজ খাল ৭ দিন বন্ধ থাকার পর চালু হলেও এমন পরিস্থিতি যে ভবিষ্যতেও সৃষ্টি হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এ নিয়ে বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা জানান, সুয়েজ খালের বিকল্প নৌপথ থাকলে এ ধরনের সংকট দেখা দেবে না। এর আগেও সুয়েজ খালের বিকল্প পথের বিষয়ে কথা উঠেছিল। ২০১৬ সালে ইসরাইলের মধ্য দিয়ে সুয়েজ খালের বিকল্প জলপথ তৈরি নিয়ে জোরেশোরে কথা ওঠে। সে সময় ইয়েমেন যুদ্ধ ও মিসরের স্পর্শকাতরতার কথা বিবেচনায় আমেরিকা বিষয়টি চাপা দিয়েছিল। বর্তমানে সুয়েজ খাল সংকট নিরসনে বিকল্প নৌপথ তৈরির লক্ষ্যে আবারো আলোচনা শুরু করেছে জাতিসংঘ। এটি ইসরাইলের আকাবা উপসাগর থেকে এইলাট বন্দর হয়ে ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। এ প্রস্তাবে সমর্থন রয়েছে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা অনেক দেশের। এখন প্রশ্ন উঠেছে, মিসর সুয়েজ খালের বিকল্প তৈরিতে রাজি হবে কি না? সুয়েজ খাল থেকে বছরে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার আয় করে মিসর যা দেশটির জিডিপির দুই শতাংশের মতো। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শুধু অর্থনৈতিক ইস্যু নয়, আঞ্চলিক ইস্যুতে প্রভাব বিস্তারেও এ জলপথের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। এ অবস্থায় বিকল্প খাল তৈরি হলে সুয়েজের ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য চলে যাওয়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন মিসর। এদিকে ইসরাইলের মধ্য দিয়ে বিকল্প নৌপথ তৈরির প্রকল্প বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য। যুক্তরাষ্ট্রও পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে ইসরাইলকে। আর তা যদি সত্যিই বাস্তবায়িত হয় তবে ইসরাইলের দাপট আরও বেড়ে যাবে বলে মনে করছে মুসলিম দেশগুলো। রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন