লকডাউনের প্রতিবাদ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিং মল মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় ‘ভর্তি পরীক্ষার সময় করোনা কোথায় ছিল?, ‘খাবার দিতে না পারলে লকডাউন দেয়ারও অধিকার নেই’, ‘কেউ খাবে কেউ খাবে না তা হবে না তা হবে না’, সেলসম্যানদের মতো সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনও বন্ধ করে দিন’ এসব লেখা কাগজ হাতে নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন ব্যবসায়ীরা। এক পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা ও পুলিশ জানায়, গতকাল দুপুরের দিকে নিউ মার্কেট প্রধান সড়কের দুপাশে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে স্থানীয় মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নূর ম্যানশনসহ বেশ কয়েকটি মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা এতে অংশ নেয়। এসময় তারা রাস্তার অবস্থান নিয়ে যান চলাচল আটকে দেয়। আশপাশের এলাকায় মিছিল করতে থাকে। মিছিল থেকে লকডাউনের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়।
এর আগে রাস্তায় অবস্থান করে তারা জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আজ সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সেখানে শপিং মল এবং বিভিন্ন মার্কেট বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়। মূলত এর প্রতিবাদ জানাতেই তারা রাস্তায় বিক্ষোভে নামেন।
তারা বলেন, লকডাউনের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয়, লকডাউনের মধ্যে ৪ ঘণ্টা মার্কেট খোলা রাখার দাবি জানান তারা। এ সময় ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি বই মেলা চলতে পারে তাহলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা কেন ব্যবসা চালাতে পারবো না।
নিউ মার্কেট থানার পরিদর্শক তদন্ত ইয়াসিন আলী বলেন, আমরা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। ঠিক সে সময় কয়েকজন আমাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। পরবর্তীতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এদিকে, নিউ মার্কেটের দুই পাশের রাস্তা বন্ধ থাকায় আশেপাশের এলাকায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশি পাহারায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম সিরাজ সাংবাদিকদের বলেন, দেশে লকডাউন দিলে শতভাগ লকডাউন দিতে হবে। কোনো কোনো খাত ছাড় দিয়ে কোনো কোনোটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাটা অন্যায়। তিনি বলেন, সারা বছর ব্যবসায়ীরা এই সময়ের জন্য অপেক্ষায় থাকেন, ঈদের সময় ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেন। এ সময়ে এসে দোকানপাট বন্ধ হওয়া মানে পথে বসে যাওয়া। এই বিক্ষোভে নিউমার্কেট, চাঁদনীচক, গাউছিয়া, চন্দ্রিমা, নীলক্ষেতসহ আশপাশের আরও বেশ কিছু মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অংশ নিয়েছেন বলেও জানান তিনি এদিকে, একই দাবিতে বসুন্ধরা শপিং মলের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা গতকাল বিকেল চারটার দিকে মলের সামনের সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন