দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে লকডাউনেও সচল রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। সোমবার সকাল থেকেই ইপিজেডগুলোতে সচল উৎপাদনের চাকা। নগরীর অন্যান্য এলাকার তৈরী পোশাক কারখানাসহ চালু আছে সব ধরনের কল-করকারখানা। শ্রমিকের উপস্থিতিও স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম ইপিজেডের জিএম মশিউদ্দিন বিন মেজবাহ জানিয়েছেন, ইপিজেডের চালু ১৩৪টি কারখানা সচল রয়েছে। যথারীতি শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। কারখানার নিজস্ব পরিবহন এবং পরিবহন কোম্পানির বাসে তাদের আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কর্ণফুলী ইপিজেড ও বেসরকারির কোরিয়ান ইপিজেডও চালু আছে। বিজিএমইএ সূত্র জানায়, নগরীর তৈরী পোশাক কারখানা চালু আছে। তবে স্বাভাবিকের চেয়ে শ্রমিকের উপস্থিতি কিছুটা কম।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, স্বাভাবিক সময়ের মতো সচল রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম। আমদানি-রফতানি পণ্য ও কন্টেইনার পরিবহন স্বাভাবিক আছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসসহ চট্টগ্রাম বন্দর সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্টানও সচল রয়েছে।
সীমিত আকারে খুলে ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর সামনে গ্রাহকের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। নগরীতে গণপরিবহন তেমন নেই। দূরপাল্লার বাস এবং ট্রেন চলাচলও বন্ধ। তবে মালবাহি ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে।
সকালে নগরীর ইপিজেডসহ শিল্প এলাকায় কারখানার ভাড়া বাসের পাশাপাশি কিছু গণপরিবহনও চলাচল করেছে। তবে অনেক শ্রমিককে সকালে কর্মস্থলে যেতে চরম দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হয়। অনেকে হেঁটে কর্মস্থলে গেছেন।
নগরীতে রিকশা চলছে ব্যাপক হারে। লোকজন হাটাবাজারে কেনাকাটায় ব্যস্ত। কাঁচাবাজার খোলা রয়েছে। তবে বন্ধ আছে মার্কেট, বিপণী কেন্দ্র শপিং মল। পাড়া মহল্লায় অলিগলিতে ভিড় জটলা চলছে। মহানগরীর বেশির ভাগ সড়ক ফাঁকা। রিকশা মোটরসাইকেল আর কিছু ব্যক্তিগত গাড়ী চলছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দর এবং মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন