লকডাউনে সাধারণ মানুষের কষ্ট বেড়েছে কয়েশতগুণ। সোমবার সকাল থেকে রাস্তায় রাস্তায় দেখা যায় হাজার হাজার মানুষ গন্তব্যে পৌঁছানোর অপেক্ষায়। গাড়ী না পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাত দিনের জন্য জারি করা বিধিনিষেধ কার্যকর শুরু হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল থেকে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ আছে। বন্ধ হয়ে গেছে আন্তঃজেলা বাস-ট্রেন-লঞ্চ চলাচল।
সকালে রাজধানীর কয়েকটি এলাকার সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্য দেখা গেছে। এছাড়া, রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। সড়কে মানুষের উপস্থিতি কম। তবে সীমিত পরিসরে অফিস খোলা থাকায় অনেকে বের হয়েছেন। কেউবা ব্যক্তিগত কাজে ঘর থেকে বের হয়েছেন। অনেকে আবার আজও কোনো না কোনোভাবে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার আশায় বের হয়ে পড়েছেন।
গণপরিবহন না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সবাইকে। কাওরান বাজারে যথারীতি ভিড় দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না আগের মতোই।
গণপরিবহন না পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ করেন অফিস ও কর্মস্থলগামী মানুষ। এতে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার সকাল ৯টার দিকে তারা সড়কে অবস্থান নেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
অবরোধকারীরা জানান, সরকারের নির্দেশনার কারণে প্রায় সকল কারখানা খোলা রয়েছে। কিন্তু শ্রমিক-কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য গাড়ির তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থায় তাদের কর্মস্থল খোলা থাকলেও তারা পরিবহন সংকটে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন